সাল ১৯৪২, আর ১৯৭৪। ৩২ বছরের পার্থক্য, তবে দিনটা এক। ২৯ ডিসেম্বর, এই একই দিনে বলিউডের দুই তারকা বাবা-মেয়ে জুটির জন্মদিন। আর এরাঁ হলেন রাজেশ খান্না ও টুইঙ্কল খান্না। আর আজ ২০২৩-এর ২৯ ডিসেম্বর, কিংবদন্তী অভিনেতা রাজেশ খান্নার ৮১তম জন্মবার্ষিকী। আর মেয়ে টুইঙ্কলের এটা ৫০তম জন্মদিন। টুইঙ্কলের কথায়, তাঁর কাছে জুন নয়, আসলে ডিসেম্বর মাসটাই হল ‘পিতৃ দিবস’।
বাবা রাজেশ খান্নার সঙ্গে টুইঙ্কল খান্নার সম্পর্ক সবসময়ের জন্য ভীষণ বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। টুইঙ্কলের কথায়, 'অনেক বাবা-ই পুত্র সন্তানের জন্য আশা করেন। আমার বাবা সেটা করেননি। বরং বাবা, আমার জন্মের পর মাকে বলেছিলেন, এটা ওঁর ৩১ তম জন্মদিনের সেরা উপহার।'
টুইঙ্কল তাঁর সঙ্গে বাবার সম্পর্কের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে একবার বলেন, ‘উনি (বাবা রাজেশ খান্না) কখনওই আমায় বেবি বলে ডাকেননি, আমায় টিনাবাবা বলতেন। আমার বড় হওয়া আশেপাশের অন্যান্য শিশুদের থেকে অনেক আলাদা ছিল। কৈশোরে আমার চারপাশে কোনও বিধিনিষেধ টানা ছিল না। মেয়ে একদিন স্বামীর ঘরে চলে যাবে, এই ভেবে আমায় কখনও বড় করা হয়নি।’
বাবা রাজেশ খান্নার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে টুইঙ্কল বলেছিলেন, ‘বাবার হাতে প্রথমবার আমি মদ্যপান করেছিলাম, অ্যালকোহলে চুমুক দিয়েছিলাম। স্কচ অন দ্য রকস, যদিও সেটা আমার কাছে সেসময় বেশ ভারী ছিল।’
টুইঙ্কেল বলেন, ‘যখন আমি প্রথম ডেটিং করা শুরু করি, তখনও প্রথম বাবার কাছে পরামর্শ নিয়েছিলাম। বাবা আমায় বলেছিলেন, যে তিনি এমন একজন সঙ্গী খুঁজছেন যে তাঁর কোলে শুয়ে পড়বে আবার তাঁরা একসঙ্গে একই বই পড়বেন। আমি হেসে বলেছিলাম, বাবা, এটা কখনওই সম্ভব নয়। তোমার প্রত্যাশা হাস্যকর। যদি উনি তোমার থেকেও ধীরে ধীরে পড়েন বা বিরতি নিতে চান তাহলে কী হবে! এর থেকে একজন শালীন মহিলা খোঁজো, যিনি তোমার বাজে কথা সহ্য করতে পারেন, আর এটাই সবথেকে ভালো হবে।’
টুইঙ্কল বলেন, তাঁর বাবা তাঁকে একসঙ্গে ৪টে বয়ফ্রেন্ড রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ‘বাবা বলেন, একসঙ্গে ৪টে বয়ফ্রেন্ড রেখো, তাতে কখনও মনে আঘাত পাবে না।’ টুইঙ্কল বলেন, ‘যদিও আমি বাবাকে কখনও বলিনি, যদি আমাকে আঘাত করার ক্ষমতা কেউ রাখে, সেটা একমাত্র উনিই, আমার বাবা।’ টুইঙ্কল বলেন, ‘আমার বাবা হয়ত আমার পাশে দাঁড়াননি, তবে জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে আমার হাত ধরে রেখেছেন। আমি জানতাম, যে আমি ওঁর উপর নির্ভর করতে পারি। বাবা যখন আমার দিকে তাকাতেন, তিনি যতই রেগে থাকুন না কেন, আমার প্রতি বাবা কখনওই বিশ্বাস হারাননি।’