মধ্যমগ্রাম আর দমদমে ফসিলসের শো-তে তৈরি হয়েছিল বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। ফের একবার একই চিত্র দেখা গেল রূপম ইসলামের শো-কে ঘিরে। কালনা শহরে চলছে ‘খাদ্য ও পিঠেপুলি উৎসব’। সেখানেই বুধবার হাজির হয়েছিলেন গায়ক। ভিড় এতটাই বাড়ে যে অসুস্থ হয়ে পড়েন ২ জন, লাঠিও চালানো হয় পুলিশের তরফে। ৪ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
কালনা শহরের পুরনো বাস স্ট্যান্ডের কাছে হিমঘরের মাঠে বুধবার ছিল রূপমের অনুষ্ঠান। রাত ৮টায় মঞ্চে ওঠার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু দেখা যায়, ঘণ্টা দুই আগে থেকেই নদিয়া, হুগলি, শিলিগুড়ি-সহ নানা প্রান্ত থেকে মানুষ এসে ভিড় জমাতে শুরু করছেন সেখানে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই মাঠে ১৫ হাজার মানুষের বসার জায়গা রয়েছে। রাত ৮টা বাজার অনেক আগেই মাঠ ভরে যায়। বাইরে তখনও দাঁড়িয়ে বহু মানুষ। ভিড় সামলাতে ও অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়াতে সাড়ে ৮টা নাগাদ মাঠের লোহার দরজাও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
দমদম, মধ্যমগ্রামের মতোই রূপম মঞ্চে ওঠার আগেই কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায় কালনার বেশ কিছু ব্যস্ত রাস্তা। রাত ৮টা ৪০ নাগাদ মঞ্চে ওঠেন রূপম। আর ততক্ষণে কালনা পুলিশ নেমে পড়েছে মাঠে ভিড় সামলাতে। লোহার গেট টপকে বহু দর্শক জোর করে মাঠে ঢোকার চেষ্টা করেন। টপকাতে থাকেন মাঠের পাঁচিলও। এর পরে মাঠের বাইরে জড়ো হওয়া জনতাকে সরাতে পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ উপস্থিত অনেকের। যদিও পুলিশের তরফে তা অস্বীকার করা হয়েছে।
দুজন অসুস্থ হয়ে পড়লে নিয়ে যাওয়া হয় কলনা হাসপাতালে। কিছু যুবক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করারও চেষ্টা করেছেন। গ্রেফতার হন ৪ জন।
‘ভিড় এতটাই হয়ে গিয়েছিল যে রাত ১০টায় অনুষ্ঠান শেষ করে দিতে হয়। এদিকে অনুষ্ঠান চলার কথা ছিল ১০টা ২০ পর্যন্ত।’, জানালেন কালনার তৃণমূল বিধায়ক মেলার উদ্যোক্তা দেবপ্রসাদ বাগ।
তিনি আরও বলেন, ‘ গত ১১ বছর ধরে পিঠেপুলি উৎসব হচ্ছে। এরকম ভিড় কখনো দেখিনি। প্রায় ৪০ হাজার মানুষ অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিলেন। সকলে তো অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছতেও পারেননি। অনেকের মনেই রূপমকে দেখতে না পারা নিয়ে একটা আক্ষেপ থেকে গেল। অন্য দিকে, যাঁরা বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন, পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে।’, আরও জানান দেবপ্রসাদ বাগ।