কৃষি বিলের বিরোধিতায় যাঁরা প্রতিবাদে নেমেছেন, তাঁদের ‘জঙ্গি’ বলেছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। তা নিয়ে নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণ শানাল শিবসেনা। কড়া ভাষায় মন্তব্য করা হল, এতদিন যে রাজনৈতিক দল ‘সাপের মতো’ ছিল, তারা অভিনেত্রীর ‘জঙ্গি’ মন্তব্যে মুখে কুলুপ এঁটেছে। যা চাষিদের ‘অপমান।’
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চাষিদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ এবং বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও গত রবিবার রাজ্যসভায় কৃষি সংক্রান্ত জোড়া বিল পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্র। সেজন্য চাষিদের অভিনন্দন জানিয়ে একাধিক টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার মধ্যে একটি টুইট রিটুইট করে কৃষি বিলের প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে সরব হন কঙ্গনা। বিক্ষোভকারীদের নিয়ে বলেন, ‘এরা সেই জঙ্গিরা, যারা দেশের কোনও মানুষ সিএএয়ের (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) জন্য নাগরিকত্ব না হারালেও রক্তপাত করেছিল।'
টুইটে কঙ্গনা অবশ্য চাষিদের ‘জঙ্গি’ বলেননি। তবে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে যাঁরা মুখ খুলেছিলেন, তাঁদের ‘জঙ্গি’ বলেছিলেন। আর গত কয়েকদিনে তো চাষিদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে পঞ্জাব, হরিয়ানার মতো একাধিক রাজ্য। স্বভাবতই ইতিমধ্যে মুম্বইকে ‘পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের’ সঙ্গে তুলনা করে ফেলা কঙ্গনার মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
তারপর মঙ্গলবার শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’-য় কঙ্গনা বা বিজেপি কারোর নাম না করে বলা হয়, ‘নিজেদের অধিকারের স্বার্থে লড়াই করা চাষিরা জঙ্গি - যদি এরকম কেউ বলেন, তাহলে সেটা অসাধুতা। কিন্তু একজন অভিনেত্রী যখন কথা বলছিলেন, তখন যে রাজনৈতিক দল সাপের মতো ছিল, তারা চাষিদের অপমানের বিষয়ে এখন নীরব আছে।'
যদিও ইতিমধ্যে কঙ্গনা সাফাই দিয়েছেন যে তিনি কৃষকদের ‘জঙ্গি’ বলেননি এবং তা প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন তিনি। টুইটারে বলেন, ‘ভগবান কৃষ্ণের যেমন নারায়ণী সেনা ছিল, তেমনই পাপ্পুর চাম্পু সেনা আছে। যারা শুধুমাত্র গুজবের ভিত্তিতে লড়াই করতে জানে। এটা আমার আসন টুইট ছিল। যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন যে আমি চাষিদের জঙ্গি বলেছি, তাহলে আমি ক্ষমা চাইব এবং চিরদিনের জন্য টুইটার ছেড়ে দেব।’