তিন সপ্তাহ আগেই শ্রীতমার জন্মদিনে আদুরে পোস্ট করেছিলেন ঋত্বিক মুখোপাধ্যায়। ‘মন দিতে চাই’-এর দোয়েল আর সোমরাজের প্রেম নিয়ে চর্চা দীর্ঘদিনের। সিরিয়াল শুরু হতে না হতেই নাকি অনস্ক্রিন শ্যালিকার সঙ্গে মন দেওয়া নেওয়া সেরে ফেলেছিলেন ঋত্বিক। দুজনের অফস্ক্রিন রসায়ন হোক বা সোশ্যাল মিডিয়া পিডিএ, সবটাই চোখ টেনেছে অনুরাগীদের। মুখ যদিও নিজেদের সম্পর্ককে বন্ধুত্বর বাইরে অন্য কোনও নাম দেননি তাঁরা। আরও পড়ুন-পুজোর আগেই ভাঙলো ঋত্বিক আর শ্রীতমার চর্চিত প্রেম? মুছলেন ছবি,ইনস্টায় করলেন আনফলো
প্রেম না হয় বাদই দিলাম, কিন্তু ‘বন্ধু’ শ্রীতমাকে হঠাৎ করে কেন আনফলো করলেন ঋত্বিক? তাঁর সঙ্গে পোস্ট করা ছবিই বা কেন মুছলেন? তবে কি সম্পর্ক শেষ দুজনের? এমন হাজারো প্রশ্ন ঋত্বিক-শ্রীতমাকে ঘিরে। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন নায়ক। শ্রীতমার সঙ্গে চর্চিত প্রেমে ইতি পড়া প্রসঙ্গে নিউজ এইটিন বাংলাকে অভিনেতা বলেন, ‘যার কোনও শুরুই ছিল না, তার আবার শেষ কোথায়? আমি আর শ্রীতমা খুব ভাল বন্ধু হয়ে উঠেছিলাম, এখনও আছি।’
কিন্তু বন্ধুত্ব যখন রয়েছে তাহলে কেন গায়েব ছবি, আনফলোই বা করলেন কেন? ঋত্বিকের সাফাই, 'আমরা দু’জন কিন্তু সেই সম্পর্কের কোনও বিশেষ নাম দিইনি কখনও। তাই অনেকের মনে হচ্ছে, কিছু একটা শেষ হল। তবে হ্যাঁ, সেই সমস্ত কথাবার্তাকে আর নিজের জীবনে জায়গা দেব না বলেই ছবিগুলো উড়িয়ে দিয়েছি। ঘটনার সূত্রপাত যেখান থেকে, সেখানেই শেষ করাটা দরকার বলে মনে হয়েছিল।’ অভিনেতা আরও জানান, দুজনের পরিবার রয়েছে। নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছিল তাঁদের। তাই ব্য়ক্তিজীবন, সমাজের কথা মাথায় রেখেই শ্রীতমাকে আনফলো করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শুধু ঋত্বিক-শ্রীতমা নয়, কিছুদিন আগেই চর্চিত প্রেমিক জুটি রেজওয়ান-দেবচন্দ্রিমাও পরস্পরকে আনফলো করে দেয়। যদিও বন্ধুত্ব রয়েছে বলেই জানিয়েছিলেন দেবচন্দ্রিমা।
জি বাংলার ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর সুবাদে রাতারাতি টেলিপাড়ার পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন ঋত্বিক, এই মুহূর্তে ‘মন দিতে চাই’-এর সোমরাজ হিসাবে দর্শক দেখছে তাঁকে। আর সিরিয়ালের নায়িকা তিতিরের দিদির চরিত্র, দোয়েলের ভূমিকায় দেখা মিলছে শ্রীতমা মিত্রর।
এর আগে গায়ক তমোজিৎ দাশগুপ্তর সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে ছিলেন শ্রীতমা। প্রকাশ্যে সেই প্রেমের কথা স্বীকারও করে নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সম্পর্ক টেকেনি। টলিপাড়ায় কানাঘুষো ছিল, তমোজিৎকে ভুলে ঋত্বিকের প্রেমে মজে নায়িকা। কিন্তু এবারও সেই প্রেম টিকলো না!