পুজো মানেই আকাশে-বাতাসে প্রেমের গন্ধ। কিন্তু টেলিপাড়ায় আচমকই বিরহের সুর! পুজোর আগে একের পর এক ব্রেকের খবর টলমল ইন্ডাস্ট্রি। সোহিনী-রণজয়ের প্রেম ঘুচেছে, জিতু-নবনীতার ডিভোর্স, দেবচন্দ্রিমা-রিজওয়ানের বন্ধুত্ব ঘিরেও উঠেছে প্রশ্ন। এর মাঝেই খবর দূরত্ব তৈরি হয়েছে ঋত্বিক-শ্রীতমার। মাত্র সপ্তাহ তিনেক আগেই পর্দার শ্যালিকার জন্মদিনে ফলাও করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ‘মন দিতে চাই’-এর নায়ক। কিন্তু হঠাৎ করেই শ্রীতমা মানে দোয়েলকে আনফলো করে দিলেন ‘সোমরাজ’ ঋত্বিক।
এখানেই শেষ নয়, শ্রীতমাকে নিয়ে করা একের পর এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টও ডিলিট করে দিয়েছেন ঋত্বিক। কারণটা কী? উত্তর অধরা। যদিও শ্রীতমা এখনও ‘ভালো বন্ধু’ ঋত্বিকের সঙ্গে পোস্ট করা ছবিগুলো সযত্নে ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে সাজিয়ে রেখেছেন। জি বাংলার ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর সুবাদে রাতারাতি টেলিপাড়ার পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন ঋত্বিক, এই মুহূর্তে ‘মন দিতে চাই’-এর সোমরাজ হিসাবে দর্শক দেখছে তাঁকে। আর সিরিয়ালের নায়িকা তিতিরের দিদির চরিত্র, দোয়েলের ভূমিকায় দেখা মিলছে শ্রীতমা মিত্রর। চলতি বছরের গোড়া থেকে টেলিপাড়ায় জোর রটনা সিরিয়ালের শ্যুটিং ফ্লোরেই জমে উঠেছে দুজনের বন্ধুত্ব। তাঁদের ছবির নীচে তো খোদ অন্বেষা হাজরাকেও কমেন্ট করতে দেখা গিয়েছে, ‘প্যায়ার দোস্তি হ্যায়’।
অফস্ক্রিনে সোমরাজ-দোয়েলের বন্ডিং নিয়ে চর্চার শেষ ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুজনের খুনসুটিও বরাবর নজর কাড়ত। কিন্তু হঠাৎ করে হলটা কী? যদিও প্রেম প্রসঙ্গ বরাবরই এড়িয়ে গিয়েছেন দুজনে। ঋত্বিক শ্রীতমাকে ডেট করার ব্যাপারে আগে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘এই কথাটার সত্যটার বিচারের দায় কী আমার? সত্যি না মিথ্যে আমি সেই প্রসঙ্গে যাচ্ছি না। দর্শক যেটা ভাবছে ভাবুক। আসল সত্যিটা এমন কিছু নয়। আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। আমি, অরুণিমা, সোমাশ্রী, শ্রীতমা, রব-আমাদের একটা গ্রুপ তৈরি হয়েছে, চিল্লার পার্টি। প্রায়ই একসঙ্গে আড্ডা দেওয়া চলে, খাওয়া-দাওয়া চলে-- বন্ধুত্ব এই আর কী!' ব্রেক-আপ চর্চার মাঝেই ইনস্টায় একটি পোস্ট লেখেন ঋত্বিক- ‘যত্ন গুলো আর অযত্নে পালন হবে না, নিশ্চিন্ত।’ কার উদ্দেশে এই রহস্যময় বার্তা? খোলসা করলেন না তিনি।
এর আগে গায়ক তমোজিৎ দাশগুপ্তর সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে ছিলেন শ্রীতমা। প্রকাশ্যে সেই প্রেমের কথা স্বীকারও করে নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সম্পর্ক টেকেনি। এবারও কি ইতিহাসের পুনারাবৃত্তি? নাকি এটা সাময়িক ভুল বোঝাবুঝির ফল? কিছুদিন আগে ভালো বন্ধু দিব্যজ্যোতি-স্বস্তিকাও পরস্পরকে ইনস্টায় আনফলো করেছিলেন। তবে সব ঝামেলা এখন মিটিয়ে নিয়েছেন দুজনে। ঋত্বিক-শ্রীতমার ক্ষেত্রেও তেমন কিছুই ঘটবে আশাবাদী ভক্তরা।