মরসুম পরিবর্তের সঙ্গে ফ্য়াশন ট্রেন্ডেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ২০২৩ সালের ফ্য়াশন ট্রেন্ড শুধু সংস্কৃতি নয়, আবেগ, অভিব্যক্তি এবং এমনকি ইতিহাসের সংমিশ্রণ ছিল। ২০২৩ সাল শেষের মুখে। গোটা বছর ফ্য়াশন উৎসাহীদের ফ্যাশন প্রবণতাগুলি ট্রেন্ড তৈরি করেছে। মানুষের স্বাচ্ছন্দ্যের স্তরের উপর নির্ভর করে এবং ক্রয়ক্ষমতাও একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে ফ্য়াশন ট্রেন্ড।
HT Lifestyle-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইসিএইচ নেক্সট-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা কণিকা বোহরা জানিয়েছেন, ‘কাফড কাফতান, জেলীগা, মিশ্র-ম্যাচ কচ এমব্রয়ডারি এবং পাকিস্তানি ইয়োকস আগের স্টাইলের মধ্যে পড়ে। এই স্টাইলগুলি এই মরসুমে আবার ট্রেন্ড করতে পারে। ফ্লোরাল, পারস্যের ইসফাহান এবং আবদেহ এবং আফ্রিকান আদিনকরা স্টাইলগুলিও রিফ্লেক্ট করে। পুরুষদের জন্য আর্কিটেক্ট, ট্রাইবাল মোটিফ, প্রাণীজগতের সঙ্গে সমৃদ্ধ, প্যালেট প্যাটার্ন এবং মনুমেন্টাল রাগ প্যাটার্নগুলি ট্রেন্ডের মধ্য়ে পড়ে’। আরও পড়ুন: ভোরবেলা দমদম বিমানবন্দরে পা রাখলেন সলমন, যোগ দিতে এলেন কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে
২০২৩ সালের ফ্য়াশন ট্রেন্ড এবং ২০২৪ সালের নতুন বছরে যেগুলি রাজত্ব করবে সে সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, আশিমা লীনা লেবেলের প্রতিষ্ঠাতা এবং ডিজাইনার লীনা সিং জানিয়েছেন, ‘নতুন যে জিনিসটি দেখা যাচ্ছে তা হলো ফ্যাশন পলিশিংয়ের অনুপস্থিতি। অনেকেই তাদের নিজস্ব স্বতন্ত্র শৈলীতে সাজতে চায় এবং বিশ্বাস করে যে তারা যদি ট্রেন্ডগুলি অনুসরণ না করে, তবে তাদের ড্রেসিংকে এমনভাবে স্টাইল করে যাতে তারা ভিড় থেকে আলাদা দেখায়’।
তিনি আরও বলেছেন, ‘অনেকেই আলাদা ভাবে শাড়ি ড্র্যাপ করার চেষ্টা করেন। শুধুমাত্র মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য তাঁদের ড্র্যাপিং স্টাইল বদলে ফেলেন। আর সেটাই ট্রেন্ড হয়ে ওঠে। একইভাবে, ভারতীয় পোশাক, বিশেষ করে লেহেঙ্গা, বিভিন্ন ধরণের ব্লাউজের সাথে পরা যেতে পারে - সাবেকি থেকে আধুনিক ব্লাউজ পর্যন্ত। ওয়েস্টার্ন পরিধান ফিউশন হয়ে প্রতিবার একটি নতুন লুক নিয়ে আসে। আনুষ্ঠানিক এবং পশ্চিমী পোশাকের মধ্যে স্কার্ফও রয়েছে'।
যেহেতু বেসিকগুলি কারও অজানা নয়, অবশ্যই বর্তমান ফ্যাশন ট্রেন্ডগুলির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেন যা ২০২৩ সালের স্যার্টোরিয়াল বিশ্বে রাজত্ব করছে। সম্ভবত নতুন বছরে অর্থাৎ ২০২৪ সালেও তা ট্রেন্ড করবে।