গ্রেফতার জনপ্রিয় ইউটিউবার এবং 'বিগ বস OTT ২' বিজয়ী এলভিশ যাদব। রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে নয়ডা পুলিশ। জানা গিয়েছে, সাপের বিষ ও বিষধর সাপ স্মাগল করার অভিযোগ ছিল বিগ এলভিশ যাদবের বিরুদ্ধে। সেই মামলাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে বস ওটিটি ২ বিজেতাকে। ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁকে।
রেভ পার্টির আয়োজন এবং তাতে সাপের বিষ দিয়ে নেশা করার মারাত্মক অভিযোগে রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করে নয়ডা পুলিশ। এনডিটিভির রিপোর্ট অনুযায়ী পুলিশ সূত্রে খবর, বিগ বস ওটিটি বিজয়ী এলভিশ আয়োজন করা রেভ পার্টিতে সাপ এবং সাপের বিষের ব্যবস্থা করার কথা স্বীকার করেছেন। সাপের বিষের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের পর যাদব স্বীকার করেছেন, গত বছর সাপের বিষ সরবরাহের জন্য গ্রেফতার হওয়া অন্যান্য অভিযুক্তদের চিনতেন তিনি।
প্রথমে এলভিশ যাদব এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। সূত্র আরও জানিয়েছে, ইউটিউবার যিনি আগে সাপের বিষের সারিতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছিলেন এবার স্বীকার করেছেন বিভিন্ন রেভ পার্টিতে অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা করতেন এবং তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আরও পড়ুন: এক বিশেষ কারণে ভিকির মায়ের খুব পছন্দ ছেলের বউ ক্যাটরিনাকে! কেন জানলে চমকে উঠবেন
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের নয়ডা থেকে রবিবার জনপ্রিয় ইউটিউবার এলভিশ যাদবকে গ্রেফতার করে। ২৬ বছর বয়সী ওই ইউটিউবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গত বছরের ৩ নভেম্বর নয়ডার সেক্টর ৫১-এ একটি ব্যাঙ্কোয়েট হলে রেভ পার্টির আয়োজন করেছিলেন। সেই পার্টিতে আগত অতিথিদের ‘আলাদা মাত্রার’ নেশা করানোর জন্য সাপের বিষ সরবরাহ করেছিলেন এলভিশ। পুলিশ যখন ওই রেভ পার্টিতে অভিযান চালায়, তখন সেখান থেকে ২০ এমএল সাপের বিষ উদ্ধার করে। এরপর আরও তল্লাশি চালাতেই ৫টি গোখরো সহ মোট ৯টি সাপ উদ্ধার করা হয়। রিপোর্ট বলা হয় বিষগুলি আসলে কোবরা এবং কেউটে প্রজাতির সাপের বিষ। পরীক্ষা করে দেখা যায়, ওই সাপগুলির বিষের থলি উধাও। দুয়ে দুয়ে চার করতে সময় লাগেনি। এরপর তদন্ত নামতেই এলভিশের নাম উঠে আসে।
অভিযোগ, রেভ পার্টিতে সাপের বিষ ব্যবহার করেছিলেন এলভিশ। নয়ডার সেক্টর ৫১-এ মানেকা গান্ধীর পিপল ফর অ্যানিম্যালস-এর স্টিং অপারেশনে, ইউটিউবার এলভিশ যাদব-সহ ছয় জনের বিরুদ্ধে একটা রেভ পার্টিতে সাপের বিষ সরবরাহের অভিযোগ উঠেছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী (সুরক্ষা) আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০এ ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) মামলা দায়ের করা হয়। FIR-এ নাম থাকা বাকি পাঁচজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এলভিশ ১৭ ফেব্রুয়ারি, রবিবার গ্রেফতার করা হল। এলভিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সাপের বিষ নিয়ে বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এলভিশ।