প্রত্যেক বাবা-মাই চান তাঁদের সন্তান স্বাস্থকর ও বুদ্ধিদীপ্ত হোক। মায়ের খাওয়াদাওয়া, জিন, ইমোশন বাচ্চার গর্ভস্থ ভ্রূণের বেড়ে ওঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেখে নিন হাসিখুশি আর বুদ্ধিমান সন্তান পেতে হবু মায়েরা কী কী করবেন--
গায়নোকলজিস্ট রত্নাবলি ঘোষ জানান, ‘উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত জিন বাচ্চার বুদ্ধিমত্তা ও ব্যক্তিত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদিও আপানর জীবনযাত্রা নিশ্চিত করে সেগুলো কতটা আপনার গর্ভস্থ ভ্রূণের মধ্যে সঞ্চারিত হবে।’
গবেষণাও দেখিয়েছে সন্তানের অর্ধেক আইকিউ আসে জিনের থেকে, আর বাকি অর্ধেক যে পরিবেশে বেড়ে ওঠা তা থেকে। তাহলে আপনি আর কীসের অপেক্ষা করছেন?
যদি আপনি চান আপনার আগত সন্তান আপনার মতোই বুদ্ধিমান হোক, তবে মেনে চলুন এই ৮ টিপস--
১. বলা হয়ে থাকে থার্ড ট্রায়মেস্টার থেকে বাচ্চা গর্ভের মধ্যে থেকেই নানা ধরনের শব্দ শুনতে পায়। এবং ভাষা শিক্ষার প্রথম ধাপ ওটাই। এমনকী, এই সময় আপনি যদি কোনও গান গুনগুন করেন, কোনও বইয়ের বিশেষ অংশে পড়েন রোজ জোরে জোরে, আপনার সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তা চিনতে পারে।
২. বাচ্চার মস্তিষ্ক ভালো করে গঠন হওয়ার জন্য ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড খুব গুরুত্বপূর্ণ। মাছ, সোয়াবিন, পালংশাক রাখুন আপনার ডায়েটে। সঙ্গে শাকে থাকা আয়রন বাচ্চার মস্তিষ্কে আক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
৩. প্রেগন্যান্সির সময় হালকা যোগা, হাঁটাচলা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এক্সারসাইজের সময় শরীর থেকে যে হরমোন নিষ্কৃত হয় তা প্লেসেন্টাতে পৌঁছয়। সঙ্গে সারা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ ভালো মতো হয়। এমনকী আপনার গর্ভেও। ফলে বাচ্চার উন্নতিও ভালো হয়।
৪. আপনার সন্তানের সাথে কথা বলুন রোজ। এটাও আপনার আগত সন্তানের মস্তিষ্কের বেড়ে ওঠায় খুব সাহায্য করে। হয়তো আপনার সন্তান বুঝতে পারে না আপনি কী বলছেন, তবে এটি তাঁর মস্তিষ্ককে উদ্দীপ্ত করে।
৫. থাইরয়েড শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা হরমোন। গর্ভাবস্থায় যদি আপনার থাইরয়েড হরমোনে তারতম্য দেখা না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। থাইরয়েড হরমোনের তারতম্য সন্তানের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলতে পারে।
৬. এই সময় ভিটামিন ডি-ও শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যা সরাসরি সূর্যের আলো থেকেই পাবেন। দিনে অন্তত ২০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকুন এই সময়টা।
৭. Time magazine article-র মতে পেটে ম্যাসাজ করাও খুব ভালো উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। ২০ সপ্তাহ থেকেই আপনার গর্ভস্থ সন্তান আপনার স্পর্শ অনুভব করতে পারে। এমনকী, আপনার স্পর্শ ভ্রূণের নার্ভাস সিস্টেমের উপরেও প্রভাব ফেলে।
৮. ওষুধের পাশাপাশি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ খাবার খান। যাতে খাবারের থেকে আপনার শরীর মিনারেলস, ভিটামিন, ফাইবার থেকে শুরু করে সব কিছু পায় বাচ্চার বেড়ে ওঠার জন্য।