সম্প্রতি সংবাদ শিরোনামে এসেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেটি ইয়ং নামে ২৬ বছর বয়সের এক মহিলার নাম। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার শেয়ার করেছিলেন এই ব্যতিক্রমী বিষয়। ২৬ বছর বয়স পর্যন্ত এখনও কোনও দিন তার পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব হয়নি, এই বিষয়টি জানার পরই নেটিজেনদের মধ্যে কৌতূহলের শুরু। ঠিক কী কারণে এখনও পর্যন্ত এই মহিলার পিরিয়ড হয়নি, চিকিৎসকরা এখনও সে বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেননি। সাধারণত মেয়েদের ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার গড় বয়স ১২ বছর, ক্ষেত্র বিশেষে তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে বয়সের হেরফেরও হতে পারে কিছুটা। অনেকেরই নির্দিষ্ট বয়সের আগে বা পরে শুরু হয়ে থাকে পিরিয়ডস। তবে গড় বছর যেখানে ১২, সেখানে ২৬ বছর বয়সেও ঋতুস্রাব না হওয়ায় এই ঘটনাটি বেশ বিরল হিসাবেই স্বীকৃতি পেয়েছে।
২৬ বছর বয়সের কেটি ইয়ং সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন তার কখনও ঋতুস্রাব হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম টিকটকে এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পরই ভাইরাল হয় মুহূর্তে এটি। কেটি এপ্রসঙ্গে বলেছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে পিরিয়ড না হওয়া তাকে খুব একটা বিচলিত করেনি, কারণ ছুটিতে থাকাকালীন বা মাসের নির্দিষ্ট সময়ে পিরিয়ড সংক্রান্ত কোনও সমস্যাতে পড়তে হয়নি তাকে। কিন্তু বর্তমানে কেটি এবং তার স্বামী সংসার বাঁধতে চলেছেন। বর্তমানে কেটি শারীরিক অবস্থার কারণে গর্ভবতী হওয়া বেশ কঠিন বলেই মনে করছেন চিকিৎসকেরা। ওই মহিলা বলেন তিনি গত এক দশকে বেশ কয়েকজন ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন এই সমস্যা নিয়ে।
১৬ বছর বয়সে তিনি যখন ডাক্তারের কাছে যান, ডাক্তার জানায় তার শরীরে কোনও ইস্টোজেন হরমোন উপস্থিত নেই। ডাক্তাররা আশ্বস্ত করে ভবিষ্যতে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এরপরে ২২ বছর বয়সেও যখন পিরিয়ড হয়নি, কেটি তখন ডাক্তারদের কাছে গেলে ডাক্তাররা একে বিরল সমস্যা হিসাবেই চিহ্নিত করেন। তিনি যখন বর্তমানে গর্ভবতী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন, সেই সময়ও এই ধরনের শারীরিক সমস্যা বেশ বিভ্রান্তিতেই ফেলছে তাদের। কোনও ডাক্তার অবশ্য এই বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট মতামত জানাতে পারেননি। আগামীতে চিকিৎসা ব্যবস্থার সৌজন্যে আর পাঁচজনের মতোই স্বাভাবিক জীবন ফিরে পান কিনা কেটি,তা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।