1/7 এমন অনেকেই আছেন, যাঁধের সারা বছরই টুকটাক শরীরখারাপ লেগেই থাকে। কখনও ঠান্ডা লাগা, কখনও পেটের গণ্ডগোল, কখনও বা ত্বকের নানা সমস্যা। এর সবচেয়ে বড় কারণ রোগপ্রতিরোধ শক্তির অভাব। এরই মধ্যে আবার মারাত্মক বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। ফলে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি মোটেই সুবিধার নয়।
2/7 তবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। পুষ্টিবিদ লভনিত বাত্রা বলছেন, রান্নাঘরের কয়েকটি পরিচিত উপাদান দিয়েই এই সমস্যা অনেকখানি কমিয়ে ফেলা যায়। দেখে নেওয়া যাক, সেগুলি কী কী।
3/7 হলুদ: হলুদ একটি দারুণ ভেষজ। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল নির্যাস আপনাকে বহু ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। ভিটামিন এবং খনিজ এতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে এটি দারুণ কাজ করে।
4/7 রসুন: রসুন এমন একটি উপাদান, যা আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করা উচিত। বিশেষ করে বর্ষাকালে। এতে অ্যালিসিন নামের একটি যৌগ আছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই এটি আমাদের শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
5/7 তুলসী: এই গাছের পাতারও আয়ুর্বেদে বিশেষ গুরুত্ব আছে। এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। রোগপ্রতিরোধ শক্তির মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে এটি। তুলসীতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-এজিং উপাদান রয়েছে, যা শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
6/7 গোলমরিচ: গোলমরিচ গোটা বা গুঁড়ো আকারে বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। এতে রয়েছে কার্মিনেটিভ গুণ যা অন্ত্রের গ্যাস এবং অন্যান্য গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা কমায়। এটিতে কেবল প্রদাহরোধী, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং জ্বর-হ্রাসকারী গুণ রয়েছে তা নয়, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
7/7 আদা: এটি জিঞ্জেরল, প্যারাডোলস, সেসকুইটারপেনস, শোগাওল এবং জিঞ্জেরোন নামক উপাদানে পরিপূর্ণ। এর সব ক’টিই শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও, আদা পেশির পুষ্টিতে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করে। এগুলি ফ্লু থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।