বাংলা নিউজ >
টুকিটাকি > Avoid heart attack- ধমনী পরিষ্কার রাখতে খান এই ১০টি খাবার, কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি
Avoid heart attack- ধমনী পরিষ্কার রাখতে খান এই ১০টি খাবার, কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি Updated: 30 Jun 2021, 11:17 AM IST Priyanka Ram সারা বিশ্বে হৃদরোগ মৃত্যুর অন্যতম কারণ। সেন্টারস ফর ডিসিস কন্ট্রোলের মতে, প্রতি চারটির মধ্যে একটি মৃত্যু হৃদরোগের কারণে হয়ে থাকে। ধমনীতে ব্লকেজের কারণে হৃদরোগের সম্ভাবনা বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। এমন কিছু খাবার আছে, যা খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করলে ধমনী সুস্থ রাখা যাবে এবং হৃদরোগের আশঙ্কাও কমবে। 1/10 অ্যাসপারাগাস- খনিজ ও ফাইবারে ভরপুর অ্যাসপারাগাস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। এর ফলে শিরা ও ধমনীর ফোলাভাবও কমে। শীররে গ্লুটাথিয়োন নামক এক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎপাদন বৃদ্ধি করে অ্যাসপারাগাস। এর ফলে ফোলাভাব ও ক্ষতিকর অক্সিডেশন কম করে। এতে আলফা লিনোলেইক অ্যাসিড ও ফলিক অ্যাসিডও থাকে। এই উপাদানগুলি ধমনীকে শক্ত হতে দেয় না। ভাপে সেদ্ধ করে, গ্রিল করে বা স্যালাড হিসেবে এটি খাওয়া যেতে পারে। 2/10 বাদাম-আখরোট- নাটসের মধ্যে আমন্ড সবচেয়ে ভালো বিকল্প। এতে মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ভিটামিন ই, ফাইবার ও প্রোটিন থাকে। বাদামে উপস্থিত ম্যাগনেশিয়াম ধমনী ব্লক হতে দেয় না। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপও কম করে। আখরোট ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের আরও একটি ভালো উৎস। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কম করে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এর ফলে ধমনী পরিষ্কার হয়। ৩-৫ সার্ভিং নাটস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। 3/10 ব্রকোলি- এতে উপস্থিত ভিটামিন কে, ক্যালশিয়ামকে ধমনীর ক্ষতি করতে দেয় না। এমনকি কোলেস্টেরলের অক্সিডেশনও কম করে ব্রকোলি। এতে উপস্থিত ফাইবার উচ্চরক্তচাপ কম করে এবং চিন্তামুক্ত রাখতে সাহায্য করে। চিন্তার কারণে ধমনীর দেওয়ালে ফাটল দেখা দিতে পারে এবং তা ব্লক হতে শুরু করে। এতে উপস্থিত সাল্ফোরাফেন শরীরে প্রোটিনের ব্যবহারে সাহায্য করে যাতে ধমনী ব্লক হতে না-পারে। াইবার ও ফাইবারবিশেষজ্ঞদের মতে প্রতি সপ্তাহে ২-৩ সার্ভিং ব্রকোলি খাওয়া উচিত। 4/10 মাছ- ম্যাকারেল, সালমন, হেরিঙ্গ ও টুনার মতো মাছ ধমনী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ট্রাইগ্লিসারাইডের স্তর কম করে ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এর ফলে ধমনীর ফোলাভাব কমে এবং ব্লক হয় না। এ ছাড়াও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সপ্তাহে অনন্ত ২ বার মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। 5/10 তরমুজ- এল-সিট্রুলিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিডের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল তরমুজ। এটি শরীরের নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। ধমনীকে স্বস্তি দেয়, ফোলাভাব কম করে এভং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রক্তে লিপিডকে সংশোধিত করতে এবং পেটের মেদ কমাতেও সাহায্য করে তরমুজ। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিকেও কমায় এই ফল। 6/10 হলুদ- হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন একটি অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটারি উপাদান। এটি ফোলাভাব, আর্টিওস্ক্লেরোসিস বা ধমনীকে শক্ত হতে দেয় না। ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না হলুদ। এতে উপস্থিত ভিটামিন বি৬ হোমোসিস্টিনের সুস্থ স্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে। 7/10 গোটা শস্য- এতে দ্রাব্য ফাইবার থাকে। যা পাচন তন্ত্রে অতিরিক্ত এলডিএল কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে নির্গত করতে সাহায্য করে। আবার গোটা শস্যে উপস্থিত ম্যাগনেশিয়াম রক্ত বাহিকা প্রসারিত করে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কোলেস্টেরলের স্তর কম করতে এবং ধমনী পরিষ্কার করতে গমের আটার রুটি, পাস্তা, ব্রাউন রাইস, কিওয়োনা, জব ও ডালিয়া খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। 8/10 অলিভ অয়েল- এতে উপস্থিত মোনোস্যাচুরেটেড ওলিক অ্যাসিড খারাপ কোলেস্টেরলকে কম করে এবং ভালো কোলেস্টেরলকে বৃদ্ধি করে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। বিশেষজ্ঞরা ১০০ শতাংশ অর্গ্যানিক অলিভ অয়েল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। 9/10 পালক- পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড ও ফাইবারে সমৃদ্ধ পালক রক্তচাপ কম করতে ও ধমনীর ব্লকেজ আটকাতে সাহায্য করে। নিয়মিত পালক শাক খেলে হোমোসিস্টিনের স্তর কম করা যায়। এর ফলে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের মতো হৃদরোগের আশঙ্কা কমে যায়। 10/10 আভাকাডো- খারাপ কোলেস্টেরল কম করতে ও ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে এটি। এর ফলে ধমনী পরিষ্কার থাকে। এতে উপস্থিত ভিটামিন ই কোলেস্টেরলের অক্সিডেশন আটকায়। আবার পটাশিয়াম রক্তচাপ কম করতে সাহায্য করে।