দই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বেশিরভাগ ডায়েটিশিয়ানই রোজ দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন তৈরি হয় শীতে দই খাওয়া কি আদৌ উচিত? দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক শরীরে ভালো ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়, যা আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখে। গরমের দুপুরে দই, বাটার মিল্ক, লস্যি আমরা পান করে থাকে প্রায়শই। যদিও অনেকেই বিশ্বাস করেন যে শীতে দই ক্ষতি করে। এতে কাশি বা গলা ব্যথা হয় খুব। তাই তাঁরা শীতকালে দই খাওয়া বন্ধ করে দেন। এখানে জেনে নিন আয়ুর্বেদ এই সম্পর্কে কী পরামর্শ দেয় এবং বিজ্ঞান কী বলে--
আয়ুর্বেদ কী বলে জেনে নিন এই ব্যাপারে
আয়ুর্বেদে শীতে দই না খাওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এটি শ্লেষ্মা বাড়ায় বলে বিশ্বাস করা হয়। এর প্রকৃতি কফযুক্ত। যাদের ইতিমধ্যেই শ্বাসকষ্ট এবং কাশি সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে তাদের অসুবিধা বাড়তে পারে এতে। তাই আয়ুর্বেদে শীতকালে বিশেষ করে সন্ধ্যায় দই না খাওয়ার কথাই বলা হয়। এমন কোনো সমস্যা থাকলে বিকেল ৫টার আগে দই খেতে পারেন।
বিজ্ঞান কী বলে জানুন
অন্য দিকে, বিজ্ঞান অনুসারে দই একটি প্রোবায়োটিক। তাই এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য ভালো। এটি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ১২ এবং ফসফরাসে সমৃদ্ধ। শীতকালে আমাদের শরীরে অনেক ধরনের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়া, তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী রাখাও জরুরি। সবচেয়ে ভালো উপায় হল ঠান্ডা দই না খাওয়া। এছাড়াও আপনার যদি পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে দই খেয়ে গলা ব্যথা, কাশি বা সর্দির মতো সমস্যা তৈরি হওয়ার, তাহলে দই খাবেন না শীতকালে। দিনের বেলায় কম টক এবং ঘরের তাপমাত্রায় রাখা দই খাওয়া যেতেই পারে।