মাঝে মাত্র কয়েকদিন। তারপরই দোল। দোল খেলার যে রং ব্যবহার করা হয়, তাতে উপস্থিত রাসায়নিক ত্বকের ক্ষতি করে। যার ফলে অ্যালার্জি, র্যাশ বেরোতে পারে। ত্বকের ক্ষতি করতে না চাইলে বাড়িতে প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক মুক্ত রং তৈরি করে নিতে পারেন। বাড়ির কচিকাঁচাদের নিয়ে বসে পড়ুন রং তৈরি করতে। দোলের মজাই দ্বিগুণ হবে। হলুদ, লাল, গোলাপি ও সবুজের মতো কয়েকটি সাধারণ রং কীভাবে বাড়িতে তৈরি করবেন জেনে নিন—
হলুদ
বেসনের মধ্যে হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। দুই হাত দিয়ে ভালোভাবে এই মিশ্রণটি মেশাতে থাকুন। হলুদ গুঁড়ো ও বেসনের অনুপাত থাকবে ২০:৮০। তার পর চালুনি দিয়ে দুই থেকে তিনবার রঙটি চেলে নিন।
লাল
হলুদ গুঁড়োর মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে শোকানোর জন্য ছেড়ে দিন। লেবুতে উপস্থিত অ্যাসিড হলুদের রঙ পরিবর্তন করে ক্রিমসন করে তুলবে। হাওয়া-বাতাস যুক্ত স্থান শুকোতে দিন। সরাসরি যাতে সূর্যরশ্মি না পড়ে সে দিকে লক্ষ্য রাখুন। শুকিয়ে গেলে দুই হাতের তালু দিয়ে ঘষে ঘষে মেশান ও চালুনি দিয়ে চেলে নিন।
গোলাপি
যেভাবে লাল রং তৈরি করেছেন ঠিক সেই পদ্ধতিতেই গোলাপি রঙও তৈরি করতে হবে। তবে এবার লেবুর পরিমাণ কমিয়ে দিন। আপনাআপনিই হলুদ গোলাপী রঙে পরিণত হবে।
বাদামি
জলের মধ্যে ২০০ গ্রাম কফি পাওডার ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে দেড় কেজি কর্নফ্লাওয়ারের মধ্যে হাত দিয়ে এই বাদামি রংটি মেশান। তারপর সারাদিন শুকোতে দিন। শুকিয়ে গেলে চালুনি দিয়ে ভালোভাবে চেলে নিতে হবে। সুগন্ধের জন্য এতে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জলও মেশাতে পারেন।
সবুজ
ময়দার মধ্যে সমপরিমাণ মেহেন্দি গুঁড়ো মিশিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
বেগুনি
৪-৫টি কালো গাজর গ্রেট করে নিন। এবার ২৫০ গ্রাম কর্নফ্লাওয়ারের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। সুগন্ধের জন্য ১০ মিলি গোলাপ জল মিশিয়ে শুকোতে দিন। শুকিয়ে গেলে চালুনি দিয়ে চেলে নিতে হবে।
ধূসর
আমলকি ব্যবহার করে এই রং তৈরি করতে পারেন। আমলকির বীজ বের করে গ্রাইন্ডারে বেটে নিন। কর্নফ্লাওয়ারের মধ্যে এটি মিশিয়ে নিতে হবে। কয়েকবার হাওয়ায় শুকিয়ে নিয়ে চেলে নিলেই ধূসর রং প্রস্তুত।