বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Home Remedies for Hangover: ছুটির মেজাজে পার্টি করতে গিয়ে বেশি মদ্যপান হয়ে গিয়েছে? হ্যাংওভার তাড়াবেন কী করে
বছর শেষ হওয়ার মুখে। এই সময়ে সপ্তাহান্তে কোনও না কোনও বন্ধু বা আত্মীয়ের বাড়িতে পার্টি চলতেই থাকে। আর শুকনো মুখে তো আর পার্টি হয় না! যাঁরা মদ্যপান করেন, তাঁদের গ্লাসে কিছুটা অ্যালকোহল তো পড়বেই এই সময়ে। তবে কি না, বছরের এই সময়ে এসে কেউ কেউ বাঁধন ছাড়াও হয়ে যান। তার ফল টের পাওয়া যায় পরের দিন। বিছানা থেকে মাথা তুলতেই কষ্ট হয়। সারা দিন মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব। এক কথায় যাকে বলে— হ্যাংওভার।
কিন্তু এই হ্যাংওভার তাড়ানোর রাস্তাও আছে হাতের মধ্যেই। সহজ ঘরোয়া উপায়েই কমিয়ে ফেলা যায় এই সমস্যা। কীভাবে কমাবেন? রইল সন্ধান।
- প্রচুর জল খান: হ্যাংওভারের অন্যতম কারণ শরীর শুকিয়ে যাওয়া। তাই সকালে ভালো করে জল খান। জলে নুন-চিনি মিশিয়ে খেতে পারেন। তাতে শরীর আর্দ্র হবে। যে টক্সিন জমা হয়েছে, সেগুলি মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যাবে। হ্যাংওভার দ্রুত কমবে।
- লেবু: অনেকের মতেই, হ্যাংওভার কাটানোর অব্যর্থ দাওয়াই লেবু। সকালে লেবুর রস জলে মিশিয়ে খেতে পারেন। চায়ের সঙ্গেও মিশিয়ে খাওয়া যায়। এতে মাথাধরা অনেকটাই কেটে যেতে পারে।
- খালি থাকবেন না: শরীর শুকিয়ে যাওয়ার মতোই শক্তি কমে যাওয়াও হ্যাংওভারের আরও একটি কারণ। তাই সকাল সকাল ভরপুর জলখাবার খান। বিশেষ করে প্রোটিন জাতীয় খাবার (যেমন ডিম) খেতে পারলে খুব ভালো।
- আদা: লেবুর মতোই আদাও হ্যাংওভার কাটাতে পারে। এমনই মত অনেকের। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে দূষিত পদার্থ মুক্ত করে। চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে খেতে পারেন। না হলে আদা কুচি চিবিয়ে খেতে পারেন। তাতে হ্যাংওভার কমবে।
- ফল: বেশ কিছু ফলেই প্রচুর ভিটামিন বি আর সি থাকে। এই দুই ভিটামিন হ্যাংওভার কাটাতে সাহায্য করে। আপেল এবং কলায় এই জাতীয় ভিটামিন আছে। জলখাবারের সঙ্গে এই দু’টি ফল খান। তাতেও সমস্যা কমবে।
- ঘুম: পার্টির রাতের পরের দিন কি অফিস যেতে হবে? কিংবা এমন কোনও কাজ আছে, যেটা সেদিনই করতে হবে? যদি তেমন না হয়, তাহলে সারা দিনটা ঘুমিয়েই কাটান। মস্তিষ্ক বিশ্রাম পাবে, শরীরও শক্তি ফিরে পাওয়ার সময় পাবে তাতেই কমে যাবে হ্যাংওভার।
টুকিটাকি খবর