পশুপ্রাণী হোক বা মানুষ, প্রতিটি প্রাণীরই নিজস্ব আলাদা ধরণ রয়েছে মনের ভাব ব্যক্ত করার। কেন মানুষের কথা বলার ধরণ বাকি প্রাণী (স্তন্যপায়ী)দের থেকে আলাদা তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা গবেষণা তথ্যও উঠে এসেছে। তবে সদ্য এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, ল্যারিংসের গঠনে কিছু ফারাক থাকার জন্য মানুষ ও এপের মধ্যে কথা বলার ফারাক তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৪৩ টি প্রজাতির প্রাণীর ল্যারিঙ্কস নিয়ে গবেষণা করেছেন গবেষকরা। সেখানে দেখা গিয়েছে হনুমানের ল্যারিঙ্কসে শারীরবৃত্তীয় গঠন মানুষের থেকে আলাদা। ফলে মনে করা হচ্ছে এই গঠন আলাদা হওয়ার ফলেই মানুষের মনের ভাব প্রকাশে কথা বলার ধরণ তাদের থেকে আলাদা। আর এর কারণ হিসাবে গবেষণায় উঠে এসেছে অভিব্যক্তি। দেখা গিয়েছে, এপ-দের ভয়েস বক্স বা ল্যারিংঙ্কসে ভোকাল মেমব্রেন রয়েছে মানুষের তা নেই। ফলে যুগ যুগ ধরে নানান অভিব্যক্তিগত পরিবর্তনের ফলে মানুষের কথা বলার ধরন পাল্টে গিয়েছে। মানুষের নেই এয়ার স্যাকস্। যার ফলে মানুষ প্রবল জোরে পশু প্রাণীর মতো ডাকতে পারে না। সুরুৎ করে পিস্তল দিয়ে কেক কেটে ফেললেন ব্য়ক্তি! 'ব্রেক আপ পার্টি'র এমন ছবি ভাইরাল
গবেষণা বলছে, যে পশুরা কথা বলতে না পারা ও মানুষ কথা বলতে পারার মধ্যে ফারাক হচ্ছে ল্যারিঙ্কস। যার দ্বারা মানুষ পিচ কন্ট্রোল করতে পারে। ফলে সঠিক একটি আওয়াজ বেরিয়ে আসতে পারে। অই আওয়াজ বা শব্দের সমষ্টিতেই মানুষ কথা বলার ক্ষমতা পেয়েছে। কিয়োটোর তাকিশেই নিশিমুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই তথ্য উঠে আসার ফলে মানুষের কথা বলার ক্ষমতা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে। গবেষকরা বলছেন, এই ল্যারিঙ্কসের কারণেই মানুষ গান গাইতে পারে, ও কথা বলতে পারে। বলা হচ্ছে, শিম্পাঞ্জি বা হনুমানদের থেকে মানুষের ভাব প্রকাশের ধরণ আলাদা হওয়ার কারণই হল ৬ থেকে ৭ মিলিয়ন বছর ধরে অভিব্যক্তি।