করোনার ভ্যাকসিন ওমিক্রনকে কতটা আটকাতে পারে, তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। কারও কারও মত কোভিডের এই নতুন রূপটি ততটাও ভয়ঙ্কর নয়। কিন্তু এর পাশাপাশি চিকিৎসকরা বলছেন, ‘লং কোভিড’-এর মতো উপসর্গ এই ওমিক্রনেও হচ্ছে। ফলে ভয়ের যথেষ্টই কারণ আছে। ফলে ওমিক্রন সংক্রমণ যত দূর সম্ভব ঠেকানোর চেষ্টা করা উচিত। আ এ জন্য রোগ প্রতিরোধ শক্তি বা Immunity যত বেশি ,হবে, ততই ভালো।
আমাদের শরীরের T-cells ভাইরাস-আক্রান্ত কোষগুলিকে নষ্ট করে। এই T-cells যত শক্তিশালী হবে, রোগ প্রতিরোধ শক্তিও তত বাড়বে। ওমিক্রনের এই বাড়বাড়ন্তের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াবেন কীভাবে? বিশেষজ্ঞ লিউক কুটিনহো সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন তেমনই কয়েকটি টিপস:
ভিটামিন ডি-র ঘাটতি না হয় (Vitamin D is the key):
ভিটামিন ডি এই টি-সেল-কে জোরদার করতে কাজে লাগে। যে সমস্ত খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই ভিটামিন রয়েছে, সেগুলি খেতে পারলে ভালো। তার মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক মাছ, শাকসব্জি, ডিম। এছাড়াও দিনের কিছুটা সময় রোদে কাটানো উচিত।
ঘুম অত্যন্ত দরকারি (The power of sleep):
রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর জন্য ঘুম অত্যন্ত দরকারি। রোজ নিয়ম করে ৮ ঘণ্টা ঘুমোলে শরীর বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগাতে পারে। টি-সেলও শক্তিশালী হয় এতে।
শরীরচর্চা, পুষ্টিকর খাবার (Exercise moderately, eat well):
রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে হাল্কা শরীরচর্চাই যথেষ্ট। বেশি শরীরচর্চা বা এক্সারসাইজের দরকার নেই। এর পাশাপাশি ভিটামিন সি এবং জিংক রয়েছে, এমন খাবার খান। লেবু, আদা, রসুন, হলুদ, মধু, তুলসী, বেল পেপারের মতো খাবার রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
ব্রিদিং এক্সারসাইজ (Breathing exercises):
মন শান্ত থাকলে, রাতে ভালো ঘুম হলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। ব্রিদিং এক্সারসাইজ এ বিষয়ে সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন নিয়ম করে মিনিট ১০ ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন।
জল খান (Stay hydrated):
শুধু চা বা কফি খেয়ে হবে না। দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খান। আর এমন খাবার এড়িয়ে চলুন, যেগুলি শরীর শুকিয়ে দেয়। অ্যালোহল, অতিরিক্ত ভাজাভুজি, ময়দার খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
জীবনযাত্রায় বদল আনুন (Change your lifestyle):
খুব ওষুধ নির্ভর জীবন কাটান কি? সম্ভব হলে সেটি বদলাবার চেষ্টা করুন। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে, সেটিও দ্রুত ত্যাগ করুন। আর মানসিক ভাবে শান্ত থাকার চেষ্টা করুন। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে।