অস্টিওপোরোসিস একটি সাধারণ হাড়ের অসুখ, যা অসংখ্য জনের মধ্যে দেখা যায়। এই অসুখে হাড়গুলি দূর্বল হয়ে পড়ে এবং তাতে চিড় ধরতে শুরু করে। যার ফলে সময়ের সাথে সাথে হাড়ের ক্ষয় হতে শুরু করে। এই অসুখের ফলে যেকোন সময় ফ্র্যাকচারের সম্ভাবনা থেকে যায়। কিছু ক্ষেত্রে, এই অস্টিওপোরোসিস যখন তীব্র হয়ে ওঠে তখন সামান্য হাঁচির ঝটকানিতে কিংবা কাশির দমকেও হাড় ভেঙে যেতে পারে।
চিকিৎসক সারাঙ দেশপান্ডের সঙ্গে কথোপকথনে উঠে আসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব।
অস্টিওপোরোসিস উপসর্গ কী কী?
অস্টিওপোরোসিস 'সাইলেন্ট' রোগ বলে। এটা ধীরে ধীরে শরীর ভাঙতে শুরু করে। যার টের পাওয়া যায় না। যতক্ষণ না ফ্র্যাকচারের পর্যায় অবধি পৌঁছচ্ছে। ফ্র্যাকচার মূলত হাতের কব্জি, শিরদাঁড়া এবং হাঁটুতে হয়। এই অসুখের উপসর্গের মধ্যে জরুরি হলো, হঠাৎ দৈহিক উচ্চতা কমতে থাকা। কোমড়ে বা শরীরের কোনো অংশে সর্বক্ষণ যন্ত্রণা। এই উপসর্গগুলি থেকে একথা আন্দাজ করা যায় যে রোগীর অস্টিওপোরোসিস আছে।
অস্টিওপোরোসিস হওয়ার কারণ কী?
অস্টিওপোরোসিস মূলত হাড়ের ঘনত্ব কম হলে হয়। হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে মূলত ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। বয়সের সাথে সাথে এই ঘনত্ব কমে। এই ঘনত্ব কমার পিছনে একাধিক কারণ কাজ করে, যেমন লিঙ্গ, পুষ্টি, বয়স এবং ডায়বেটিজ বা হাইপোথাইরোয়েডের মতো রোগ।
অস্টিওপোরোসিস হলে কী কী হতে পারে?
৫০ উর্ধ্ব ব্যক্তি, যাদের রোজকারের খাবারে ক্যালসিয়ামের অভাব, কসরত করবার বিশেষ সুযোগ নেই, নারীদের ক্ষেত্রে যাদের রজোনিবৃত্তি হয়েছে এবং পুরুষ যাদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কম তাঁদের জন্য এই অসুখের ভয় থেকেই যায়। অনেক সময় মদ্যপান, ধূমপান, শরীরে একাধিক ফ্র্যাকচার থাকার ফলেও অস্টিওপোরোসিস হতে পারে।
এই অস্টিওপোরোসিস রোধের উপায় কী?
প্রাত্যহিক ৩০ মিনিট অন্তত কসরত করা প্রয়োজন। ফল, সবজি, ব্রোকোলি, আমন্ডের মতো খাবার খেলে হাড় শক্ত হয় এবং অস্টিওপোরিসসের ভয় খানিক কমে। নিয়ম মাফিক জল খাওয়া দরকার। জল হাড় থেকে অপ্রয়োজনীয় টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। অন্তত এক ঘন্টা করে প্রতিদিন শরীরে সূর্যের তাপ লাগানো প্রয়োজন, যাতে হাড় মজবুত হয়। ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকা জরুরি।