থিমের রমরমা দুর্গাপুজোয় বহু বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরে কালীপুজোতেও দেখা যাচ্ছে থিমের পুজো। এবার সেই থিমের প্রভাব দেখা গেল গণেশ পুজোতেও। কয়েক বছর ধরেই বাংলায় ঘটা করে উদযাপন শুরু হয়েছে গণেশ পুজোর। রাজনীতিকদের দেখা মিলছে পুজোর উদ্বোধনে। তাহলে থিমটাই বা বাদ যায় কেন! সেই হিসেবেই এবার কলকাতায় দেখা মিলল থিমের গণেশ পুজোর। একেবারে জমজমাট সাম্প্রতিক বিষয় নিয়েই করা হয়েছে আকর্ষণীয় থিম। কলকাতার বুকে এমন থিম রীতিমতো নজর কেড়েছে সকলের।
(আরও পড়ুন: পেট সাফ হয় না রোজ? ভাবনা নেই! এই ফলটি খেলেই দারুণ কাজ হবে)
চলতি বছর গণেশ চতুর্থীতে সল্টলেকের পিএনবি মোড়ে আয়োজন হয়েছে গণেশ পুজোর। সেখানেই বিবি ব্লক যুবক সঙ্ঘের গণেশ পুজোর থিম হল চন্দ্রযান-৩! প্যান্ডেলে পা রাখলেই শোনা যাবে চন্দ্রযান-৩-এর উৎক্ষেপণের ‘কাউন্টডাউন’। তার পর ধীরে ধীরে শোনা যাবে চাঁদের বুকে চন্দ্রযান-৩-এর ঐতিহাসিক ল্যান্ডিংয়ের শব্দও। মন্ডপের ভিতরের ছাদ নির্মিত হয়েছে মহাকাশের আদলে। সেখানে দেখা যাবে চাঁদ, বিক্রম রোভার। এই বিশেষ থিমের নাম রাখা হয়েছে - ‘পাড়ি দিতে পারি’।
(আরও পড়ুন: মাসে মাসে ২ ইঞ্চি! চুল বাড়বে তরতরিয়ে, বাড়িতেই বানিয়ে নেন ‘বিশেষ’ তেল)
২৩ অগস্ট চাদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখে ইসরোর মহাকাশযান বিক্রম ল্যান্ডার। তার পর কাজ শুরু হয় প্রজ্ঞান রোভারের। প্রসঙ্গত, চাঁদে ল্যান্ড করার সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস গড়ে ফেলে ভারত। কারণ সেই প্রথম পৃথিবীর কোনও দেশ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখল। সারা বিশ্বের তরফেই ভারতকে এই অভিযানকে কেন্দ্র করে শুভেচ্ছাবার্তা জানানো হয়। ভারতের বিজ্ঞানের ইতিহাসের এই মুহূর্ত নিঃসন্দেহে গর্বের। সেই গর্বের মুহূর্তকেই থিম দিয়ে ফুটিয়ে তুললেন পুজো উদ্যোক্তারা। প্রসঙ্গত, ইসরোর এই অভিযানে বাংলার থেকেও অনেকে যুক্ত ছিলেন। বাংলার নানা প্রান্তের তিরিশজন বৈজ্ঞানিক যুক্ত ছিলেন এই প্রোজেক্টে। চাঁদে সফল ল্যান্ডিংয়ের জন্য প্রোজেক্টের বিভিন্ন অংশে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তাঁরা পালন করেন। সেই সাফল্যের কথাই মনে করিয়ে দিতে চায় এই থিম। গণেশ পুজোর চন্দ্রযান-৩ থিম যেন সেই বিজ্ঞানীদেরই কুর্নিশ জানানো।