আজও মারাঠাদের গৌরবময় ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছেএই দুর্গ। পেশোয়া বাজিরাও-১ নির্মাণ করেন এই দুর্গটি। এই দুর্গের সৌন্দর্য দেখলে যে কেউ অবাক হয়ে যাবে। তবে কেবল মারাঠাদের গৌরব নয়, প্রতারণা ও হত্যার গল্পও লেখা রয়েছে এই দূর্গের ইতিহাস জুড়ে। তবে লোকমুখে শোনা যায় যে এই সৌন্দর্যের আড়ালেই হাড় হিম করা এক ঘটনা রয়েছে এই দুর্গে। আজও নাকি কারও চিৎকার শোনা যায় প্রাসাদের কোণে কোণে।
এই দুর্গের নাম পুনের শনিওয়ার ওয়াদা। মারাঠা সাম্রাজ্যের মহান সেনা বীর পেশোয়া বাজিরাও-১ ১৭৩৬ সালে পুনেতে এই দুর্গটি তৈরি করেছিলেন, যেখানে তিনি তাঁর পরিবার ও প্রজাদের সঙ্গে থাকতেন। সেই সময়ে, তার অঞ্চলের অন্যতম শক্তিশালী দুর্গ হিসাবে বিবেচিত ছিল এই প্রাসাদটি।
আরও পড়ুন: মহিলার কীর্তিতে রেগে আগুন হাতি! তার পরে কী করল সে? দেখলে হাড় হিম হয়ে যাবে
'বাজিরাও পেশোয়া-১'-এর পর বহু প্রজন্ম তাঁদের শৌর্যবীর্যের পতাকা উত্তোলন করেছে এই দুর্গে। এটি নির্মাণের সময় সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তা। তাই নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এটি তৈরি করা হয়েছে। এর প্রধান ফটকটি দিল্লি দরওয়াজা নামে পরিচিত। এছাড়াও এতে রয়েছে গণেশ দরওয়াজা, খিরকি দরওয়াজা, মাস্তানি দরওয়াজা এবং জাম্বলে দরওয়াজা।
এই দুর্গের অভ্যন্তরে অনেক প্রাসাদ নির্মিত ছিল, যা আজও দেখতে পাওয়া যায়। এই প্রাসাদগুলির মধ্যে রয়েছে গণেশ মহল, আরশা মহল, হস্তি-দাঁত মহল ও দেওয়ান খানা।
তবে এই দুর্গেরই আনাচে কানাচে লেখা রয়েছে আরও এক হাড় হিম করা ঘটনা। কানাঘুঁষো করলে শোনা যায় এখনও নাকি মহল থেকে চিৎকারের শব্দ ভেসে আসে। অনেকেই নাকি শুনেছেন সেই চিৎকার। তাই সূর্যাস্তের পরে এই দুর্গে ঢোকা একেবারেই নিশিদ্ধ।
আরও পড়ুন: বাংলায় কী নামে ডাকা হয় ভালোবাসার উইকিপিডিয়াকে? অজানা অনেকের কাছেই
কথিত আছে যে ১৮ বছর বয়সী নারায়ণ রাও মারাঠার দশম পেশোয়া হিসাবে সিংহাসন গ্রহণ করার সময় একটি ঘটনা ঘটে। নারায়ণ রাওয়ের সিংহাসনে বসায় তাঁর কাকা রঘুনাথ রাও একেবারেই খুশি ছিলেন না। পরে নারায়ণ রাওকে হত্যা করে সিংহাসন থেকে সরানো হয় । কথিত আছে যে আজও নারায়ণ রাওয়ের আত্মা সেখানে ঘুরে বেড়ায় এবং সাহায্যের জন্য চিৎকার করে। সেই সাহায্যের চিৎকারই নাকি আজও শোনা যায় কান পাতলে…।