সারা দেশে আনন্দ-উল্লাসের সঙ্গে পালিত হয় দোল বা হোলি। তবে কেমিক্যাল-যুক্ত রং দিয়ে দোল খেললে ত্বক ও চুলের নানা সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্ত রং ত্বকের এলার্জি, চোখে জ্বালা-সহ পেটের নানা সমস্যাকে ডেকে আনে। সেক্ষেত্রে ভেষজ (অর্গ্যানিক ও হার্বাল) রং দিয়ে হোলি দোল পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতিতে বাজারজাত রং কতটা নিরাপদ, সেই প্রশ্নও সকলের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাড়িতে নিজেই হার্বাল রং বানিয়ে ফেলা যেতে পারে।
সবুজ রং- নিমপাতা বাটা দিয়ে সবুজ রং তৈরি করতে পারেন। নিম পাতা বাটা আবার জলে মিশিয়েও দোল খেলা যেতে পারে। নিমে অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়ল ও অ্যান্টিঅ্যালার্জিক উপাদান থাকে, যা পিম্পল, অ্যাকনের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। নিমপাতা শুকিয়ে এর পাওডার তৈরি করে আবির হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া সবুজ শাকপাতার রস দিয়েও সবুজ রঙ তৈরি করতে পারেন।
লাল ও ম্যাজেন্টা রং- এখনও বাজারে সহজেই বিট পাওয়া যাচ্ছে। একে কুচিয়ে জলে ফুটিয়ে ম্যাজেন্টা রং তৈরি করুন। গাঢ় গোলাপি রঙ তৈরি করতে চাইলে এতে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি করুন। আবার জবা ফুলের পাওডার আটায় মিশিয়েও লাল রং বানানো যেতে পারে। এই রং চোখ বা মুখে চলে গেলেও কোনও সমস্যা হবে না। এই রং পিচকিরিতে ভরে বাচ্চাদের দিতে পারেন।
হলুদ রং- হলুদ এই রং তৈরির সবচেয়ে উপযুক্ত সামগ্রী। হলুদে অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ থাকে, যা ত্বকের পক্ষে উপকারী। হলুদ রং তৈরির জন্য হলুদের গুড়োকে জব বা ভুট্টার আটায় মেশান। এই রং আবার মৃত ত্বক সরিয়ে প্রাকৃতিক স্ক্রাবেরও কাজ করবে। অ্যারারোট বা চালের গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়েও হলুদ ব্যবহার করা যাবে।
কমলা রং- এই রং তৈরি করতে গাঁদা ফুল ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও ১০০ গ্রাম শুকনো পলাশ ফুলকে এক বালতি জলে ফুটিয়ে অথবা সারারাত ভিজিয়ে রেখে দিয়েও কমলা রং তৈরি করতে পারেন। সকালে এই জল ছেকে নিয়ে রং খেলায় মেতে উঠুন।
নীল রং- এর জন্য নীল রঙের ফুল শুকিয়ে বেটে নিন। আবার কালো আঙুর বেটে তাতে জল মেশালেও নীল রং পেয়ে যেতে পারেন।