শীত যেতে না যেতে দোরগোড়ায় এসে হাজির গ্রীষ্ম। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনেকের লেগে যায় সর্দি, কাশি, জ্বর। ঠান্ডা লাগার বেরাম নিয়ে ছুটতে হচ্ছে ডাক্তারের কাছে। কিন্তু তাতেও কোনও সুফল হচ্ছে না। তাহলে আর কী! আপনার দৈনন্দিন রুটিনে করে নিতে হবে বেশ কিছু পরিবর্তন।
গরমকালে যে সমস্যায় বেশি ভোগে মানুষ তা হলো ডিহাইড্রেশন। এই সময় শরীরকে হাইড্রেট রাখা খুবই প্রয়োজন। না হলে হতে পারে শরীরে জলের ঘাটতি। শরীরকে সুস্থ রাখতে এগুলি আপনাকে মেনে চলতেই হবে। যা আপনার হাতের কাছেই আছে-- আপনার রান্নাঘরে।
পেঁয়াজ- এটি রান্নাঘরে থাকবে না তা হতেই পারে না। আপনি কি জানেন এটি শুধু রান্নার স্বাদ বাড়িয়ে তোলে না আপনার শরীরকে ভালো রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। পেঁয়াজ শরীরকে ঠান্ডা করে। দই, স্যালাড, পেঁয়াজ দিয়ে রাইতা বানিয়ে সহজেই খাওয়া যেতে পারে।
জানেন কি একটি পেঁয়াজের মধ্যে কী থাকে? লাল পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে কোয়ারসেটিন থাকে, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে। তাই খাওয়ার পাতে অবশ্যই রাখুন পেঁয়াজ।
তরমুজ- গ্রীষ্মকালে অতি সহজেই পাওয়া যায় তরমুজ। গরমকালে শরীরে জলের ঘাটতি কমন ব্যাপার। এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার একমাত্র উপায় হল সেই ফলগুলো খাওয়া যে ফলে জলের পরিমাণ বেশি। তার মধ্যে একটি ফল হল তরমুজ। কারণ এর মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি থাকে। এই উপাদান আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। এছাড়াও, তরমুজে আশ্চর্যজনক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ রয়েছে যা শরীরকে ঠান্ডা রাখে।
শশা- প্রায় সারাবছরই বাজারে পাওয়া যায়। শশাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিণ্য প্রতিরোধ করে। আবার শশাতে আছে প্রচুর পরিমাণে জল। গরম আবহাওয়ায় ঠান্ডা থাকার জন্য, আপনি এটিকে স্যালাডে হিসেবে খেতে পারেন। আবার চাইলে শশা, ক্রিম, বরফ দিয়ে জুস বানিয়ে খেলেও অসুবিধে নেই।
দই- দই অত্যন্ত সাধারণ খাবার। যে কোনও খাবারের সঙ্গে এটি পরিবেশন করা যেতে পারে। আর সহজে পাওয়াও যায়। দই, পেঁয়াজ, কালোমরিচ, সঙ্গে শশা হতে পারে দুপুরে খাওয়ার প্লেটে একটি সুস্বাদু আইটেম। বিকেলে দই আর বরফ মিশিয়ে লস্যির তো কথাই নেই। এত কিছু না হলেও শেষ পাতে এক বাটি দই খেতেই পারেন।
লেবু- নিজেকে সুস্থ রাখতে লেবুর কথা মনে আসবে না তা হতেই পারে না। গরমকালে এটি প্রতিটি বাড়িতেই থাকে। এটি খাওয়ার সবচেয়ে সহজ এবং জনপ্রিয় উপায় হল এক গ্লাস জলে লেবুর রস, চিনি দিয়ে শরবত বানিয়ে ফেলা। এটি আপনার শরীরে সেলাইনের কাজ করে। এনার্জিও পাওয়া যায়। সঙ্গে ভিটামিন সি-এর চাহিদা মেটায়। রোজ পাতে একটি লেবু অবশ্যই রাখতে পারেন।
সবুজ শাক-সবজি- সারা বছরই উপকারী। সবুজ শাক-সবজি নিয়মিত খেলে শরীর তো ভালো থাকেই, এর মধ্যে থাকা জল আমাদের জন্য খুবই কাজের। তবে মনে রাখবেন যে সবজিগুলি অতিরিক্ত রান্না করলে জলের পরিমাণ কমে যেতে পারে।