তন্দুরি হোক বা কারি, রান্নার আসল মজা নাকি ম্যারিনেশনেই। মানে মাছ-মাংস-সবজি বা পনির যাই রান্না করুন না কেন, ম্যারিনেশনটা ঠিকঠাক হওয়া দরকার। তাহলেই দেখবেন খাবার আসছে জবরদস্ত স্বাদ। একেক ধরনের রান্নার জন্য এক-একেক রকম ম্যারিনেশনের প্রয়োজন পড়ে। আজ তাই ম্যারিনেশন নিয়েই কয়েকটি টিপস দিচ্ছি আমরা। কীভাবে ম্যারিনেশন করবেন, ম্যারিনেশনের সময় কোন ভুলগুলো করবেন না জানুন ঝটাপট।
সাধারণত দু'ধরনের ম্যারিনেশন করা হয়ে থাকে। ওয়েট আর ড্রাই ম্যারিনেশন। ড্রাই ম্যারিনেশনের ক্ষেত্রে কোনও জলীয় পদার্থ ব্যবহার করা চলবে না। শুকনো মশলা, এমনকী আদা-রসুনেরও গুঁড়ো ব্যবহার করতে হবে ড্রাই ম্যারিনেশনের সময়। রোস্টেড চিকেন বা বার্বিকিউ রান্না করার সময় সাধারণত ড্রাই ম্যারিনেশন করা হয়ে থাকে।
আর ওয়েট ম্যারিনেশন দই, লেবুর রস, ভিনিগার ইত্যাদির সঙ্গে মশলা মিশিয়ে করা হয়। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে আপনার রান্নার সামগ্রী যেন ভালোভাবে ম্যারিনেশনের মধ্যে ডুবে থাকে।
কীভাবে করবেন ম্যারিনেশন
ফ্রিজ থেকে বের করেই ম্যারিনেশন করবেন না। বরং মাছ-মাংস-সবজি রুম টেম্পারেচারে এলে তবেই ম্যারিনেশন করুন।
ম্য়ারিনেশনের আগে মাংস বা মাছের জল ভালো করে ঝরিয়ে নেবেন অবশ্যই।
হাত দিয়ে ম্যারিনেট করবেন। চামচ দিয়ে করতে যাবেন না। এতে মশলা সব জায়গায় সমানভাবে পৌঁছতে পারে না।
মাংস ম্য়ারিনেট করার সময় তার গায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে চিড়ে নিন, যাতে ম্যারিনেশনের সময়ে ও রান্নার আগে মাংসের ভিতরেও মশলা ঢোকে। এতে মাংস আরও সুস্বাদু হবে।
ম্যারিনেশনের জন্য মাছ-মাংস-সবজি-র গায়ে মশলা মাখানোর পর বাটির মুখ ঢাকা দিয়ে তা অন্তত ৩০ মিনিট রাখুন। তার বেশি রাখতে পারলে ফ্রিজে রেখে দিন। তবে ফ্রিজ থেকে বের করে রুম টেম্পারেচারে এনেই রান্না করবেন।
কাবাব বা তন্দুরির ক্ষেত্রে মাংস কমপক্ষে ঘণ্টাখানেক ম্যারিনেট করুন।
ম্যারিনেশনের সময় যতটা সম্ভব কম নুন দেবেন, বিশেষ করে মাংসের ক্ষেত্রে। বেশি নুন দিলে তা মাংসের থেকে জল বের করে মাংসকে শুকনো করে দেয়।