ভিড়ে ঠাসা টাইগার সাফারি। গিজ গিজ করছে পর্যটক। আর সামনেই বাঘমামা। দুলকি চালে চলেছে জঙ্গলের পথে। কিন্তু সামনে পর্যটক বোঝাই গাড়ি। আর পেছনেও পর্যটক বোঝাই দুটি বিরাট গাড়ি। সেখান থেকে ভেসে আসছে চিৎকার। উল্লাসের আওয়াজ। কার্যত ঘাবড়ে গেল বাঘ। জঙ্গলে যে বাঘের এমন দাপট সেই বাঘও কি না এভাবে ভিজে বেড়াল হয়ে গেল। গুটি গুটি পায়ে বাঘ এবার জঙ্গলের পথে। আক্রমণ করার কথা মাথাতেই আসেনি তার। একেবারে গুড বয়ের মতো জঙ্গলের দিকে চলে যায় বাঘ। তবে যাওয়ার আগে কিছু যেন ভাবে বাঘটি। দেখুন আইএফএস পরভীন কাসোয়ানের পোস্ট করা সেই ভিডিয়ো।
এদিকে নেটপাড়ায় ঝড় তুলেছে এই ভিডিয়ো। বনদফতরের পদস্থ কর্তা লিখেছেন, কোথাও একটা টাইগার সাফারি হচ্ছে। হোয়াটস অ্যাপে ভিডিয়োটা পেলাম। বাঘটা কী ভাবছে?
সত্যিই এত মানুষ দেখে বাঘটাই চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। এদিকে এভাবে দল বেঁধে মিনি ট্রাকে চেপে টাইগার সাফারি কতটা বৈধ তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাছাড়া জঙ্গলের একটা আলাদা ব্যাকরণ থাকে। সেটা মানুষকেও মানতে হয়। জঙ্গলে গিয়ে এভাবে চিৎকার , চেঁচামেচি করা, বন্য জীবজন্তুদের বিরক্ত করাটা কোনওভাবে যুক্তিযুক্ত নয়। কিন্তু এই টাইগার সাফারিতে দেখা গেল একেবারে অন্য় ছবি। এই ছবি নিঃসন্দেহে উদ্বেগের। তবে এটা কোথাকার ভিডিয়ো সেটা জানা যায়নি। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
এদিকে এই ভিডিয়ো দেখে এক নেট নাগরিক লিখেছেন, এই ঘটনায় যে আধিকারিক দায়িত্বে রয়েছে তাকে সাসপেন্ড করা দরকার। অপর এক নেটনাগরিক লিখেছেন পর্যটকরা বুঝতে পারেন না যে জঙ্গলে চুপচাপ থাকতে হয়। যত চুপচাপ তারা থাকবেন ততই জন্তুদের দেখা যাবে। কারণ জঙ্গলে নিঃশব্দটাই হিরণ্ময়।
আর বাঘের এই ভিডিয়ো দেখে অপর এক নেটিজেন লিখেছেন গোটা প্রতিবেশী গ্রামটাই জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে। এবার আমি কী করব।অপর একজন লিখেছেন, মিনি ট্রাক নিয়ে টাইগার সাফারি! এটা কীভাবে সম্ভব!