ওমিক্রন হচ্ছে। হয়ে সেরেও যাচ্ছে। অনেকেরই সামান্য সমস্যা হচ্ছে। কারও কারও কোনও সমস্যাই হচ্ছে না। এমনকী অনেকে তো টেরই পাচ্ছেন না। আর সেখান থেকেই অনেকেই দাবি করেছেন, ওমিক্রন আসলে বিশেষ কোনও সমস্যা সৃষ্টি করে না।
তাঁদের এই দাবি যে পুরোপুরি ভুল, তাও নয়। কিন্তু তার পরেও পৃথিবীর বহু জায়গাতেই ওমিক্রন সংক্রমণের পরে করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। রাশিয়া এবং ব্রাজিলে সংক্রমণের পরিমাণ বেড়েছে। আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ায় বেড়েছে কোভিডে মৃতের সংখ্যা। এই সবই হয়েছে ওমিক্রন ড়িয়ে পড়ার পরেই। এর কারণ কী? ওমিক্রন যদি ভয়ের কিছু নাই হয়, তাহলে হঠাৎ করে কেন বাড়ছে কোভিড সংক্রমণের পরে মৃতের সংখ্যা? কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?
কেন বিশ্বে নানা প্রান্তে আবার করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে?
- প্রথমত, করোনায় মৃতের বেশির ভাগই টিকা নেননি। আমেরিকার পরিসংখ্যান এমনই বলছে। করোনায় মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই টিকা নেননি। যাঁদের টিকা নেওয়া হয়নি ওমিক্রন তাঁদের বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। সেই আশঙ্কার কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা।
- ওমিক্রনের সংক্রমণের হার ডেল্টার থেকে বেশি। ফলে যে পরিমাণে মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছিল, ওণিক্রন তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে ছড়াচ্ছে। যাঁরা এর আগে সংক্রমণ থেকে বেঁচে গিয়েছেন, তাঁরাও এবারে সংক্রমিত হচ্ছেন। ফলে বাড়ছে মৃত্যুর হারও।
- ওমিক্রনে ভয় কম ঠিকই, কিন্তু তা বলে ওমিক্রন মোটেই মৃদু নয়। অনেকেরই বাড়াবাড়ি হচ্ছে না এর ফলে। কিন্তু সেটি বাইরে থেকে যতটা দেখা যাচ্ছে, তার উপর বিচার করেই বলা হচ্ছে। ভিতরে ভিতরে ওমিক্রনের কারণেও ক্ষতি হচ্ছে মারাত্মক। ফলে বাড়ছে মৃত্যুর হার।
এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচার রাস্তা একটাই। সেটি হল টিকা নেওয়া। তেমনই বলছেন বিজ্ঞানীরা। নিয়মমাফিক টিকা নিলে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এই সমস্যা কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত তাঁদের।