৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সমাজে নারীদের অধিকার রক্ষা করতে শুধু পুরুষরাই নয় লড়াই করেছলিনে বহু নারীও। নারী পুরুষের সমান অধিকার সমাজে প্রতিষ্ঠা করার লড়াই আজকের নয়। বহু যুগ আগে থেকেই নারীরা নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করে আসছেন। পুরুষ প্রধান সমাজে নিজেদের অস্তিত্বের ছাপ রেখে গিয়েছেন বহু নারী। আজ জেনে নেব এমনই এক মহিলা শাসকের কাহিনি যিনি বহুযুগ আগেই পর্দার প্রথার বাইরে গিয়ে পুরুষদের সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই করেছেন।
রাজিয়া সুলতানা নামের এই শাসক ভারতের প্রথম মহিলা শাসক। রাজিয়া সুলতানার পুরো নাম রাজিয়া উদ দুনিয়া ওয়া উদ্দিন। ইলতুৎমিসের কন্যা ছিলেন রাজিয়া। একাধারে একজন ভালো শাসক ও সেনাপতি হওয়ার পাশাপাশি যুদ্ধ ক্ষেত্রেও অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: এক বাটি দইয়েই জাদু! রোজ খাবার পাতে রাখলেই দেখতে পাবেন এই সব শারীরিক বদল
ইলতুৎমিসের যোগ্য পুত্র মারা যাওয়ার কারণে রাজিয়াকে দিল্লির শাসক হিসাবে মনোনিত করেন সুলতান। এই কন্যা চিরকালই অত্যন্ত বুদ্ধিমতী ও যুদ্ধবিদ্যায় পটু ছিলেন।
তবে সুলতানের মৃত্যুর পরে তার আরেক পুত্র রোকনুদ্দিন ফিরোজ সিংহাসন দখল করে নেন এবং প্রায় সাত মাস শাসন চালান দিল্লির দরবারেষ কিন্তু ১২৩৬ নাগাদ জনগনের সাহায্য নিয়ে ভাইকে অপসারণ করে ফের ক্ষমতায় ফেরেন রাজিয়া।
আরও পড়ুন: মিষ্টি না খেলেও কেন বেড়ে যায় ব্লাড সুগার? কেন হয় এমন? কীভাবে সামলাবেন
তবে শুধু শাসনকার্য ও যুদ্ধবিদ্যায় পটু হওয়া ছাড়াও নারীদের জন্য অনেক অবদান রয়েছে রাজিয়ার। শাসনকার্যের স্বার্থে নারীত্বের আবরণ পরিত্যাগ করে, পুরুষের পোশাক গ্রহণ করেন এই রাজিয়া। নারী পুরুষের সমান অধিকারে বিশ্বাস রাখতেন এই রাজিয়া। এই পোশাকেই তিনি জনসম্মুখে, প্রশাসনে ও যুদ্ধক্ষেত্রে আসতেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর কারণ হতে পারে মানসিক চাপ! অবহেলা করলেই যেতে পারে প্রাণ, এই লক্ষণগুলির দিকে খেয়াল রাখুন
নারী হয়েও প্রকাশ্যে পর্দাপ্রথার বিরোধী হয়ে শাসনকাজ পরিচালনা করার জন্য উলেমা ও প্রভাবশালী শ্রেনীর বিরাগভাজন হয়েছিলেন তিনি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলতে থাকে। এইরকমই একটি ষড়যন্ত্র হল চল্লিশ জন ক্রীতদাসদের সমন্বয়ে গঠিত ‘চল্লিশ চক্র’ বা তার্কান-ই-চিহালগানী। ১২৪০ রাজিয়ারই এক বিশ্বস্ত ভৃত্য যে কিনা এই চক্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তাকে খাদ্যে বিষ দিয়ে হত্যা করে।