সারা বিশ্ব জুড়েই বাড়ছে করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা। ওমিক্রন আর সাধারণ সর্দি-জ্বরের লক্ষণের বিশেষ পার্থক্য নেই। বিশেষ প্রাথমিক অবস্থায় ওমিক্রনে সংক্রমণ হলে মনে হতেই পারে, এটা সাধারণ ঠান্ডা লাগা। কিন্তু সংক্রমণ বাড়তে থাকলে তার প্রভাব পড়ে গোটা শ্বাসযন্ত্রে। তখনই বোঝা যায়, এটা ওমিক্রন।
এক দিকে শীত বাড়ায় সাধারণ ঠান্ডা লাগার হার বেড়েছে। অন্য দিকে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। তাহলে কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন, সেটি সাধারণ ঠান্ডা লাগা নয়, ওমিক্রনের সংক্রমণ? লক্ষণগুলো জানা থাকলে গোড়াতেই সাবধান হতে পারবেন, সংক্রমণ বাড়াবাড়ি জায়গায় যাবেও না।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, গোড়ায় যে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল, তার সঙ্গে পরের ভ্যারিয়েন্ট বা প্রজাতিগুলি সংক্রমণের উপসর্গগুলো আলাদা। গোড়ার ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে যেমন ডেল্টার উপসর্গের মিল ছিল না, তেমনই মিল নেই ওমিক্রনেরও। ওমিক্রনের সঙ্গে তুলনায় অনেক বেশি মিল রয়েছে সাধারণ ঠান্ডা লাগার। কিন্তু ঠান্ডা লাগার সঙ্গে দুটো উপসর্গ দেখলেই বুঝতে হবে— ওমিক্রনের আশঙ্কা থাকলেও থাকতে পারে। মাথাব্যথা এবং ক্লান্তি।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলছে, ওমিক্রন অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তার মানেই এটা মারাত্মক ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে কি না, তা নিয়ে এখনও সন্দেহ রয়েছে বিজ্ঞানীমহলে। তবে এটা বেশ বোঝা গিয়েে, গোড়াতেই ডেল্টার মতো কাহিল করে দেয় না এই ভ্যারিয়েন্টটি।
কী কী উপসর্গ দেখলে ওমিক্রন সম্পর্কে সাবধান হবেন (Symptoms of Omicron):
- ঠান্ডা লেগেছে, সর্দি-জ্বর, সেটা দ্রুতই সেরেও যাচ্ছে।
- খুব ক্লান্তি
- গলা চুলকাচ্ছে
- সার গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা
আগের ভ্যারিয়েন্টগুলি থেকে সংক্রমণ হলে স্বাদ এবং গন্ধের বোধ চলে যেত অনেকেরই। ওমিক্রনে সেই সমস্যা হচ্ছে না। এটা ওমিক্রন সংক্রমণ বোঝার আরও একটি উপায়।
এখনও ওমিক্রন সম্পর্কে অনেক কিছুই পরিষ্কার নয়। আর সেই কারণেই আরও বেশি করে সবাইকে সাবধান থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা। ওমিক্রন থেকে বাঁচতে নিয়ম মেনে টিকা নেওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা— আপাতত এই দুটোই রাস্তা। পরে এই ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে গবেষণা আরও নতুন দিক খুলে দেবে বলে ভরসা রাখছেন বিজ্ঞানীরা।