মহারাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এর ক্র্যাকডাউনের পরে, ফাস্ট ফুড জায়ান্ট ম্যাকডোনাল্ডস গ্রাহকদের আশ্বস্ত করেছে তাদের পণ্যগুলিতে প্রকৃত ও উচ্চমানের চিজই ব্যবহার করা হয়। এফডিএ ম্যাকডোনাল্ডসকে তার আইটেমগুলিতে নিন্মমানের চিজ ব্যবহারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। আহমেদনগরের ম্যাকডোনাল্ডসের একটি আউটলেটের লাইসেন্স স্থগিত করে মহারাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। তাদের তদন্তে দেখা গেছে যে ফাস্ট ফুড চেইনটি খারাপ মানে চিজ ব্যবহার করত।
মহারাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কমিশনার এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘আমরা গ্রাহকদের কাছ থেকে কিছু অভিযোগ এবং প্রতিক্রিয়া পেয়েছি ম্যাকডোনাল্ডস এবং অন্যান্য ফুড চেনগুলির খাবারের উপাদানগুলি সম্পর্কে।’ ঠিক কী কী ব্যবহার করা হচ্ছে তাদের খাবারে, তা ডিসপ্লে বোর্ডে যথাযথভাবে ঘোষণা করা উচিত বলে জানিয়েছেন সংস্থার কমিশনার অভিমন্যু কালে৷ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিদর্শনে জানতে পেরেছি যে তারা চিজের পরিবর্তে নিন্ম মানসম্পন্ন চিজের মত কোনও দ্রব্য ব্যবহার করত। পর্যবেক্ষণের পর, পরিদর্শকরা আউটলেটগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়।’
সংস্থাটি গত বছর এক মাসব্যাপী তদন্ত চালিয়ে জানতে পারে, ম্যাকডোনাল্ডস বার্গার এবং অন্যান্য খাবারের ক্ষেত্রে ভেজিটেবল তেলের মত দ্রব্য সস্তা ব্যবহার করছে চিজের বিকল্প হিসেবে। কোনও প্রকার লেভেলিং ছাড়াই এই নিন্ম মানের চিজের বিকল্প দ্রব্য ব্যবহারের ফলে প্রাথমিক ভাবে না বুঝতে পারলেও খাবারের গুণমান ও স্বাদের পরিবর্তন লক্ষ্য করেন ক্রেতারা। এফডিএ, এই কারণে আহমেদনগরের আউটলেটের লাইসেন্স স্থগিত করেছে। খাদ্য নিরাপত্তা ও স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি ইন্ডিয়ার নিয়ম অনুসারে মেনু এবং ডিসপ্লে বোর্ডগুলিতে সঠিক উপাদানগুলির নাম প্রকাশের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে সংস্থাটিকে।
শেষ পর্যন্ত সংস্থাটি তাদের খাবারগুলির নাম পরিবর্তন করে। পদগুলির নাম থেকে ‘চিজ’ শব্দটি বাদ দিয়ে নতুন করে নামকরণ করা হয় খাবনারগুলির। ম্যাকডোনাল্ডস অপারেটর এর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘আমরা এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করছি এবং তাদের চূড়ান্ত ব্যাখ্যার জন্য অপেক্ষা করছি।’ ম্যাকডোনাল্ডসের বিবৃতিতে আরও যোগ করা হয়েছে, ‘আমরা সবসময় কঠোর খাদ্য মান মেনে চলেছি এবং সমস্ত প্রযোজ্য খাদ্য আইন সম্পূর্ণরূপে মেনে চলেছি। আমরা গ্রাহকদের সুস্বাদু ও উচ্চমানের খাবার সরবরাহ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।