জাতীয় বিজ্ঞান দিবসে প্রযুক্তিকে আগলে ধরার বার্তা মোদীর। ছোটবেলা থেকেই তিনি প্রযুক্তির প্রতি দুর্বল। দেশের একাধিক সভায় দাঁড়িয়ে দেশবাসীর কাছে প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করার প্রতিজ্ঞা করেছেন আগেও। কিন্তু এবার তাঁর নিজের কাছে নিজের প্রতিজ্ঞার খবর প্রকাশ পেল, তাঁরই ছোটবেলায় লেখা একটি ডায়েরির পাতা থেকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সর্বদাই নিজের সজাগ দৃষ্টি ও দূরদৃষ্টির জন্য প্রশংসিত হয়েছে। তাঁর প্রতিটি ছোট-বড় বিষয়ের দিকে ভালো করে লক্ষ্য করার স্বভাব আরও একবার দেখা গিয়েছে তাঁর পুরনো ডায়েরির এই পাতাটিতে।
ডায়েরিটি লেখা হয়েছিল যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না। ডায়েরিতে, প্রযুক্তির কথা লিখে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে লেখা রয়েছে, 'বিজ্ঞান বিশ্বজনীন কিন্তু প্রযুক্তি অবশ্যই স্থানীয় হতে হবে।' উল্লেখযোগ্যভাবে, 'তরুণ মোদী' থেকে জ্ঞানের কথাগুলি ছোটবেলা থেকেই প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি তাঁর ঝোঁকের প্রমাণ দেয়। জাতীয় বিজ্ঞান দিবস উপলক্ষ্যে ডায়েরির পাতাটি এক্স-এ শেয়ার করে @mygovindia লিখেছে, 'প্রধানমন্ত্রী মোদী: একজন চিন্তাশীল নেতা! আসুন প্রধানমন্ত্রীর এই গভীর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে #NationalScienceDay কে আলোকিত করি। এই শব্দগুলি তরুণ নরেন্দ্র মোদীর ডায়েরি থেকে নেওয়া হয়েছে, স্থানীয় প্রযুক্তির উপর ফোকাস রেখে বিজ্ঞানের প্রচারে তাঁর দৃষ্টি এবং প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে এই বিশেষ লাইন দুটি।'
প্রধানমন্ত্রী মোদী, দৈনন্দিন জীবন এবং কর্মক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে আগলে রাখার একজন শক্তিশালী সমর্থক, তিনি নিজেই একজন প্রযুক্তিবিদ। শাসনে প্রযুক্তির প্রতি তাঁর উদ্যোগ ভারতকে 'গো ডিজিটাল' করার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। আজ, গ্রামীণ ভারতের একটি বিশাল অংশ মূলধারার ব্যাঙ্কিংয়ের সঙ্গে যুক্ত, আর্থিক লেনদেনগুলি ডিজিটাল হয়ে যাওয়ায় প্রকল্পের টাকাও সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্কে দেওয়া সহজ হচ্ছে। সেমি-কন্ডাক্টর এবং সেই সঙ্গে ড্রোন উৎপাদনের বিশাল ঘাঁটি স্থাপনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছাপ স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, প্রতিরক্ষা খাতেও, মোদী সরকার বিদেশি প্রযুক্তির উপর নির্ভর না করে দেশীয় ও স্বদেশী অস্ত্রাগার উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে। এই উদ্যোগও ফল দিয়েছে। ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র, পৃথ্বী এবং আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র সরকারের 'প্রতিরক্ষা স্বদেশীকরণ' উদ্যোগের কিছু উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
উল্লেখ্য, চাঁদ ও সূর্যের পর এবার মহাকাশে ইতিহাস গড়তে চলেছে ভারত। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ISRO নিজেদের গগনযান মিশনের চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ শুরু করচর। চন্দ্রযান এবং আদিত্য এল-১-এর সাফল্যের পর গগনযান ইসরোকে আরও অনেক উচ্চতায় নিয়ে যাবে। ভারতের প্রথম মানব মিশন হিসাবে মহাকাশে ৪ মহাকাশচারী পাঠাতে চলেছে ভারত। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশ মিশন, গগনযানের ঘোষণা করার পর থেকে, সম্ভাব্য মহাকাশচারীদের নাম গোপনে ছিল। এবার সেই সাসপেন্স থেকেই পর্দা উঠেছে। প্রশান্ত বালকৃষ্ণ নায়ার, অঙ্গদ প্রতাপ, অজিত কৃষ্ণান এবং উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্লাকে সঙ্গে নিয়ে মহাকাশে পৌঁছোবে ভারতের গগনযান।