পুজোর সময় নিশ্চয়ই বাইরে কোথাও যাচ্ছেন না? কতজনই বা পুজোর সময় নিজের জায়গা ছেড়ে ঘুরতে যেতে চান? কিন্তু অনেকদিন ধরেই কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য মনটা আনচান করছে। বিশেষত জুলাই এবং অগস্টে বিশা………ল দুটি মাস কাটিয়ে ব্যস্ত কর্মজীবন থেকে কিছুটা মুক্ত হতে চাইছেন? তাহলে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ এবং অক্টোবরের গোড়ায় আপনার কাছে দারুণ সুযোগ আছে। মহালয়ার দু'সপ্তাহ আগে আছে লম্বা উইকেন্ড। ওই লম্বা উইকেন্ডে কয়েকদিনের জন্য উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে হারিয়ে যেতে পারবেন। সমস্ত ক্লান্তি, চাপ, মন খারাপ ভাসিয়ে দিতে পারবেন রিয়াং নদীতে। সারি-সারি পাহাড়, কমলালেবুর বাগান, ঝরনার মধ্যে নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাবেন।
লম্বা উইকেন্ডের হাল-হকিকত
ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ফতেয়া-দোহাজ-দাহাম আছে। তারপর শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এবং রবিবার (১ অক্টোবর) এমনিতেই ছুটি থাকবে। আর আগামী ২ অক্টোবর (মঙ্গলবার) পড়েছে গান্ধী জয়ন্তী। অর্থাৎ শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ছুটি জোগাড় করতেই একেবারে বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার ছুটি পেয়ে যাবেন।
তবে কেউ যদি শুক্রবার ছুটি না পান, তাহলে ২৯ সেপ্টেম্বর অফিস করে রাতে উত্তরবঙ্গের ট্রেন ধরে ফেলুন। তারপর ৩০ সেপ্টেম্বর, ১ অক্টোবর এবং ২ অক্টোবর ছুটি কাটিয়ে আবার ৩ অক্টোবর অফিসে যোগ দিতে পারবেন। সেরকমই একটি তিন রাত এবং তিনদিনের ছোট্ট ট্যুরের পুরো প্ল্যানিং রইল।
প্রথম দিনের ট্যুর প্ল্যানিং
সকালের দিকে নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি বা বাগডোগরায় পৌঁছে সেবক হয়ে সিটং চলে যান। সিটং যাওয়ার পথে রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত মংপু এবং করোনেশন ব্রিজে ঘুরে যেতে পারেন। রাতে আপার সিটঙে থেকে যান।
দ্বিতীয় দিনের ট্যুর প্ল্যানিং
সেদিন সিটঙের আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখুন। দিনভর অহলদারা টি এস্টেট, ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পয়েন্ট, নামথিং পোখরি লোক, পাইলের জঙ্গল, মহাকাল মন্দির, ৩০০ বছরের পুরনো গুম্ফা, অরেঞ্জ গার্ডেন এবং যোগীঘাট ঘুরে বেড়ান। রাতটা লোয়ার সিটঙে থাকুন।
তৃতীয় দিনের ট্যুর প্ল্যানিং
সিংট থেকে নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি বা বাগডোগরায় ফিরে আসুন। ফেরার পথে পাগলাঝোরা জলপ্রপাত, চিমনি ইকোপার্ক, ভিক্টোরিয়া বয়েজ স্কুল, লেপচায় জলপ্রপাত দেখতে ভুলবেন না। তারপর নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি বা বাগডোগরায় নেমে বাড়ি ফেরার ট্রেন ধরুন।
আরও পড়ুন: Darjeeling Puja Tour: বাংলার সুইজারল্যান্ড, সিটংয়ের কাছেই অপূর্ব সেই গ্রাম, ঘুরে আসুন পুজোর ছুটিতে
দুপুর ৩ টে ৫ মিনিটে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়াগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আছে। যা রাত ১০ টা ৩৫ মিনিটে হাওড়ায় পৌঁছাবে। এছাড়াও সরাইঘাট এক্সপ্রেস, কামরূপ এক্সপ্রেসের মতো একাধিক ট্রেন আছে। যে ট্রেনে করে ফিরে আসতে পারবেন। তবে ২ অক্টোবর ট্রেনে উঠে যদি ৩ অক্টোবর অফিসে যোগ দিতে চান, তাহলে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসই সুরক্ষিত ট্রেন। ২ অক্টোবর রাতে বাড়ি ঢুকে পরদিন সকালে অফিসে যেতে পারবেন।
(লেখক পরিচিতি: নিজেকে পাহাড় প্রেমিকা বলতেই ভালোবাসেন সায়নী সেনগুপ্ত। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার, প্রেম হল পাহাড়। সায়নীর কথায়, পাহাড়ের সঙ্গে লং-ডিসটেন্স রিলেশনশিপে আছেন।)