পুজোয় কিংবা পুজোর পরে কি এবার দার্জিলিং যাচ্ছেন? এবার একটু অন্যরকম ভাবে পাহাড়ে বেড়ানোর মজা নিতে পারেন। অফবিটের নাম করে খুব দুর্গম জায়গায় পরিবার নিয়ে না গিয়ে আপনি চলে যেতে পারেন মিম চা বাগানে। এই বাগানকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে দার্জিলিংয়ের অফবিট পর্যটনকেন্দ্র।
জায়গাটি দার্জিলিং থেকে খুব দূরে নয়। মেরেকেটে ২০ কিমি দূরেই দার্জিলিং শহর। এখান থেকে মানেভঞ্জন প্রায় ১২ কিমি। সেখান থেকেই সান্দাকফু ট্রেকিং রুট শুরু হয়। সুখিয়াপোখরি মাত্র ৫ কিমি দূরে। আর এখান থেকে লেপচাজগতের দূরত্ব মাত্র ৭ কিমি। সব মিলিয়ে কাছে পিঠে একাধিক ঘোরার জায়গা। আর মিমের রূপ ভাষায় বলা যাবে না।
আর মিমের নামের পেছনে একটি প্রচলিত কথা আছে। কথিত আছে বিগত দিনে মানে ব্রিটিশ আমলে এখানকার চা বাগানের অন্যতম মালিকানা ছিল এক ইংরেজ মহিলার হাতে। তাঁকে স্থানীয়রা মেমসাহেব বলে ডাকতেন। সেখান থেকে এই চা বাগানের নাম হয়ে যায় মিম। আর সেই মেমসাহেবের চা বাগানেই দুরাত কাটিয়ে যেতে পারেন আপনি।
চা বাগান ঘেঁষা একাধিক কটেজ রয়েছে। অত্যন্ত নির্জনে, নিরিবিলিতে কাটাতে পারেন। এখান থেকে কাছেই লেপচাজগৎ। গাড়ি নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন সেখানেও। খুব ভালো লাগবে। কাছেই একটা ছোট্ট সেতু আছে। সেটা পার হলেই বিজনবাড়ি। একেবারে মনোরম জায়গায়। চারদিকে সুউচ্চ পাহাড়ের শৃঙ্গ। তার মাঝে ছবির মতো চা বাগান। আপনি মনে মনে যা কল্পনা করছেন তার থেকেও সুন্দর এই জায়গা।
সবথেকে বড় কথা সুখিয়াপোখরি আর লেপচাজগৎ দুটোই বেশ কাছে। ভোর ভোর উঠে কাছের গ্রামে চলে। পাহাড়ি মানুষের সহজ সরল জীবনযাত্রা আপনাকে মুগ্ধ করবে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে বর্ষায় মিমের একপাশের রাস্তা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আশা করা যাচ্ছে পুজোর আগে সেসব ঝকঝকে হয়ে যাবে।
কীভাবে যাবেন?
এনজেপি বা তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে বাসে ঘুম পর্যন্ত আসতে পারেন। এরপর সেখান থেকে গাড়িতে মিম চা বাগান। এতে যাতায়াতের ভাড়া কিছুটা সস্তা হবে। তবে সরাসরি গাড়িতেও আসতে পারেন মিম চা বাগানে।