ওমিক্রনের ভয়াবহতা, ওমিক্রনের ফলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আশঙ্কা করোনার অন্য রূপগুলির থেকে অনেকটাই কম। কিন্তু ওমিক্রন কিছু কিছু বিষয়ে করোনার অন্য রূপগুলির থেকে অনেক বেশি ঝামেলার। যত দিন যাচ্ছে, এ সংক্রান্ত নানা তথ্য উঠে আসছে নতুন নতুন গবেষণায়।
হালে জাপানের Kyoto Prefectural University of Medicine-এর তরফে ওমিক্রন নিয়ে নতুন একটি গবেষণা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে ওমিক্রনের জীবাণু করোনার অন্য রূপগুলির তুলনায় বেশি ক্ষণ বাঁচে। বিশেষ করে ত্বকে এবং প্লাস্টিকে।
আপনার হাতে ওমিক্রনের জীবাণু কত ক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে জানেন কি?
জাপানের Kyoto Prefectural University of Medicine-এ এই গবেষণাটি বলছে, করোনার কোন রূপটি ত্বকে কত ক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে:
- করোনার আদি রূপ: ৮.৬ ঘণ্টা
- আল্ফা: ১৯.৬ ঘণ্টা
- বেটা: ১৯.১ ঘণ্টা
- গামা: ১১ ঘণ্টা
- ডেল্টা: ১৬.৮ ঘণ্টা
- ওমিক্রন: ২১.১ ঘণ্টা
পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, ওমিক্রন কেন অন্য রূপগুলির তুলনায় বেশি ছড়িয়েছে।
তবে প্লাস্টিকের ক্ষেত্রে এই ওমিক্রন আরও বেশি ক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে। দেখে নেওয়া যাক কী বলছে Kyoto Prefectural University of Medicine-এর গবেষণা:
- করোনার আদি রূপ: ৫৬ ঘণ্টা
- আল্ফা: ১৯১.৩ ঘণ্টা
- বেটা: ১৫৬.৬ ঘণ্টা
- গামা: ৫৯.৩ ঘণ্টা
- ডেল্টা: ১১৪ ঘণ্টা
- ওমিক্রন: ১৯৩.৫ ঘণ্টা
পরিসংখ্যান থেকেই দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৮ দিন পর্যন্ত প্লাস্টিকের উপর বেঁচে থাকতে পারে ওমিক্রনের জীবাণু।
তবে ভিষয়টি এখানেই শেষ নয়। দেখা গিয়েছে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার জাতীয় দ্রব্য করোনার অন্য রূপগুলির উপর যতটা প্রভাব ফেলতে পারে, ওমিক্রনের উপর তার চেয়ে কম। সেই কারণেই এমন লাগামছাড়া ভাবে বেড়েছে ওমিক্রন। তাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।