নতুন ওমিক্রন বা ওমিক্রন BA.2 এখন আলোচনার কেন্দ্রে। অনেকের মতেই, এটি আগের ওমিক্রনের চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে চলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-ও জানিয়েছে, নতুন ওমিক্রনের সংক্রমণের হার আগের ওমিক্রনের চেয়ে বেশি হতে পারে। কিন্তু এই নতুন ওমিক্রন কতটা ভয়ের? এটি নিয়ে কতটা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার?
হালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-র প্রধান মারিয়ামা কেরকোভে সংবাদমাধ্যমকে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, নতুন ওমিক্রন কি আগের ওমিক্রনের চেয়ে ভয়াবহ হতে চলেছে? উত্তরে মারিয়ামা জানিয়েছেন, আগের ওমিক্রন এবং নতুন ওমিক্রন BA.2-এর মধ্যে বিশেষ পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়নি।
তাঁর কথায়, ‘সংক্রমণে ভয়াবহতা, হাসপাতালে ভর্তি করানোর ঝুঁকির বিষয়গুলি নিয়ে যে যে পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে, তাতে আগের ওমিক্রন এবং নতুন ওমিক্রন BA.2-র মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নেই। দু’টি ওমিক্রনই মোটের উপর একই ধরনের সংক্রমণ তৈরি করছে।’
যদিও এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়েছিল, নতুন ওমিক্রনের সংক্রমণের হার আগেরটির চেয়ে বেশি। সেই কথা এখনও উড়িয়ে দিচ্ছেন না WHO-র প্রতিনিধিরা। কিন্তু সংক্রমণের হার বেশি হলেই যে, ভয়াবহতাও বেড়ে যাবে, তেমন কোনও ইঙ্গিত নেই বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।
ডেনমার্ক, ইংল্যান্ডের মতো দেশে বিপুল পরিমাণে বেড়েছে ওমিক্রন BA.2। জাপানের কয়েক জন বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, এটি ডেল্টার মতো মারাত্মক আকারও ধারণ করতে পারে। ভারতেও এখন এই ওমিক্রন BA.2-র সংক্রমণ দ্রুত গতিতে হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে সেটি নিয়ে এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু আছে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা।