Prokaryoplankton new findings consume most of the oxygen: বিজ্ঞানীদের গবেষণায় এমন তথ্য জানা গিয়েছে। সমুদ্রের এই অণুজীব খালি চোখে দেখা যায় না। সমুদ্রের ৯০ ভাগ এলাকাই এদের দখলে।
1/6 আকারে এতটাই ক্ষুদ্র যে খালি চোখে এদের দেখা অসম্ভব। ইউক্যারিওটিক অর্থাৎ আধুনিক কোশের থেকে আকারে অনেকটাই ছোট এই কোশগুলি। বিজ্ঞানীদের ভাষায় প্রোক্যারিওটিক। বয়সের হিসেবে অনেকটাই আগে জন্মানো এই কোশগুলি নাকি সমুদ্রের জলের অক্সিজেন সবচেয়ে বেশি শুষে নিচ্ছে।
2/6 নেচার পত্রিকায় সম্প্রতি প্রোক্যারিওপ্লাঙ্কটন নামক সমুদ্রবাসী অণুজীবদের নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। সেখান থেকেই এমন তথ্য জানা যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, সংখ্যায় এই অণুজীবগুলো একেবারেই কম।
3/6 চারটি গবেষণাগারের ১৩ জন বিজ্ঞানী মিলে দীর্ঘ সময় ধরে এই পরীক্ষানিরীক্ষা করেন। বিগোলো গবেষণাগার, ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়, স্প্যানিশ ইনস্টিটিউট অফ ওশিয়ানোগ্ৰাফি ও পাজু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই গবেষণায় সামিল হন।
4/6 পরীক্ষার জন্য মেইন উপসাগর ছাড়াও আটলান্টিক মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর ও ভূমধ্যাগর থেকে নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়েছিল। বিজ্ঞানীদের কথায়, প্রতি গ্যালন সমুদ্রের জলে লক্ষ কোটি অণুজীব থাকে। সমুদ্রের ৯০ ভাগ এলাকাতেই প্রোক্যারিওপ্লাঙ্কটন নামক অণুজীবের বাস।
5/6 এই প্রোক্যারিওপ্লাঙ্কটনের তিন শতাংশ অণুজীব মোট অক্সিজেনের এক তৃতীয়াংশ জল থেকে শুষে নিচ্ছে। এর বদলে জলে কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করছে। দীর্ঘ গবেষণায় এমন তথ্যেরই হদিস পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
6/6 এতটা অক্সিজেন শুষেও যে তারা খুব সবল, তেমনটা নয়। বরং বাকি প্রোক্যারিওপ্লাঙ্কটনের তুলনায় এই তিন শতাংশ অনেকটাই দুর্বল। বিজ্ঞানীদের ধারণা অন্য অনুজীবগুলো সূর্যের আলো থেকে শক্তি সংগ্ৰহ করে বলে বেশি শক্তিশালী।