কাজের চাপ সামলে ঘুরতে যাওয়াই মুশকিল হয়ে পড়ে অনেকের কাছে। তবে এবার যেন মেঘ না চাইতেই জল! সেই পড়ে পাওয়া আট আনার মতো মেলা ৩ দিনের ছুটিটা তাই ঘরে বসে নষ্ট করবেন না। চলুন না, ফোন লাগিয়ে দিন বন্ধু বা পরিবারের কাউকে। আর ঘুরে আসুন পুরুলিয়া থেকে।
কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্ব পুরুলিয়ার! কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরা ভরা। কী নেই বলুন তো। ঘন সবুজ অরণ্য, ড্যাম, পাহাড়, ঝরণা মিলিয়ে এ যেন স্বর্গ। তিন দিনে হয়তো গোটা পুরুলিয়া ঘুরতে পারবেন না। তবে চাইলে ঘুরে নিতে পারবেন মুরগুমা আর অযোধ্যা পাহাড়।
কীভাবে যাবেন?
ট্রেনা বা গাড়িতে সহজেই যেতে পারবেন পুরুলিয়া। হাওড়া থেকে ওভারনাইট জার্নি করে পৌঁছে যান পুরুলিয়া স্টেশনে। সেখান থেকে গাড়িতে অযোধ্যা পাহাড়। আর যদি মনে করে মুরগুমায় আগে ঘুরবেন তবে বুক করবেন মুড়ি জংশনের টিকিট।
কীভাবে ঘুরবেন?
যদি পাহাড় আপনাকে টানে তাহলে সোজা চলে যান পুরুলিয়ার হিল টপে। সেখানে রয়েছে অনেক হোটেল আর অতিথিনিবাস। বর্ষায় পুরুলিয়ার পাগল করা রূপ যত দেখবেন ততই পাগল হবেন! ঘুরে দেখতে পারেন সীতা কুন্ড, ময়ূর পাহাড়, দুর্গা বেরা, মারবেল লেক, আপার ড্যাম, লোয়ার ড্যাম, বামনী ফলস, টুর্গা ফলস, টুর্গা ড্যাম।
অযোধ্যা পাহাড়ের থেকে ঘণ্টাখানেক দূরে আছে খয়রাবেরা লেক। তিনদিকে ঘনসবুজ পাহাড় দিয়ে ঘেরা আর একদিকে সবুজ উপত্যকা! মাঝে স্বচ্ছ-সলিলা এক গভীর জলাধার! চারিদিকে ছাড়া ঘন সবুজ অরন্যের ছায়া পড়ে লেকের জলও থাকে গভীর সবুজ। খয়রাবেড়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে কোন পর্যটকের ভালো লাগবেই। এখানে একটি রিসর্টও হয়েছে, চাইলে সেখানেও রাত্রিবাস করা যায়।
রাত কাটানো যায় মুরগুমাতেও। এখানকার সাহারজোড় নদীকে ঘিরে তৈরি হয়েছে পুরুলিয়া ড্যাম। শান্ত লেকের জলে ছাড়া পড়ে পাহাড়ের। স্নিগ্ধ, শান্ত পরিবেশ মেন এনে দেয় শান্তি। চারপাশে শাল আর পিয়ালের জঙ্গল। এখানেও থাকার জন্য রয়েছে অনেকগুলো রিসর্ট। আর হ্যাঁ, সামনেই সেই বেগুনকোদর স্টেশনখানা। ভূত ভালোবাসলে বেগুনকোদর থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।