গরম পড়েছে। এই সময়ে বেশি করে জল খেতে হবে। কিন্তু জানেন কি জল খাওয়ার ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়?
গবেষকরা বলছেন প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত জল খেলে বিপদ হতে পারে। বা খুব দ্রত জল খেলেও সমস্যা হতে পারে! শরীরে জলর ঘাটতি হলে যেমন বিপদ, তেমনই জলের পরিমাণ বেশি হলে ওভার-হাইড্রেশন হতে পারে, যা থেকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার মধ্যে প্রধান, শরীরে সোডিয়াম জাতীয় নুনের মাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যেতে পারে।
হাইপোনেট্রিমিয়া জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে এর ফলে। এটির অর্থ সোডিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়া। এতে মস্তিষ্কের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সাধারণত বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
মাথায় আঘাত বা হৃদরোগজনিত সমস্যা থাকলে সাধারণত এই সমস্যাটি বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ঘুম থেকে ওঠা থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত কতটা জল খাচ্ছেন, তার হিসেব রাখা দরকার। গরমে ঘন ঘন জল খেলেও বিপদ হতে পারে।
এছাড়াও ভারী খাবার খাওয়ার পরে জল খাওয়াটা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। খাওয়ার আগে জল খেলেও খাওয়ার পরে জল একবারেই খাওয়া চলবে না। আর খাবার খাওয়ার সময়েও জল খাওয়ার অভ্যাস ঠিক নয়। খাবার খাওয়ার অন্তত আধ ঘণ্টা আগে জল খান। তার পরে খাবার খাওয়ার আধ ঘণ্টা পরে খান।
হালকা শরীরচর্চার পর সামান্য পরিমাণ জল খেতে পারেন। কিন্তু বেশি শরীরচর্চার পরে জল খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। আসলে শরীরচর্চার সময়ে ঘামের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে খনিজ বেরিয়ে যায়। এই সময়ে বেশি করে জল খেলে বিপদ হতে পারে। তাছাড়া এই সময়ে শরীরের তাপমাত্রা থাকে বেশি। তখন জল খেলেও বিপদ হতে পারে।