এখনই কোভিড শেষ হবে না। কিন্তু তার জন্য স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও থেমে যেতে পারবে না। ফলে আর দরকার নেই আইসোলেশনের। এমনই সিদ্ধান্ত নিল এই দেশ। বলে দেওয়া হল, সতর্ক থাকতে হবে ঠিকই, কিন্তু অতিরিক্ত গুরুত্বও দেওয়া যাবে না কোভিডকে।
কোভিড সম্পর্কে নিজেদের নীতি এভাবেই বদলে ফেলল ইংল্যান্ড। সে দেশের সরকার ঘোষণা করেছে, এবার কোভিডের সঙ্গেই বসবাস করতে হবে দেশবাসীকে। আগামী সপ্তাহ থেকে আর কোভিডের কারণে আইসোলেশন থাকতে হবে না। তেমনই জানাল সরকার।
ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, দেশবাসীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। তাঁর কথায়, স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত না করে নিজেদের রক্ষা করতে হবে। রবিবার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলছি না, আমাদের সতর্ক থাকা উচিত নয়। তবে এখন সকলের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার মুহূর্ত এসে গিয়েছে। আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে হবে অতি দ্রুত।’ তার প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে তুলে নেওয়া হল এই আইসোলেশন।
যদিও সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকরা। তাঁদের কথায়, এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি সংক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং ভবিষ্যতের জন্য আরও মারাত্মক ধরনের করোনার রূপেরও জন্ম দিতে পারে। এর ফলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা তো বটেই দেশের অর্থনীতিও মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-ও জানিয়েছে, করোনার আরও বিপজ্জনক এবং আরও সংক্রামক রূপের উঠে আসার জন্য এটাই আদর্শ সময়। WHO-প্রধান বলেছেন, ‘করোনার আরও বিপজ্জনক এবং সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার জন্য আদর্শ সময় এটি। দু’বছর আগে যখন করোনা নিয়ে প্রথম আলোচনা শুরু হয়, তখন হয়তো অনেকে ভাবতেই পারেননি অতিমারি এক সময়ে তৃতীয় বছরে পা দেবে। শুধু সেটিই নয় তৃতীয় বছরে এসেও জীবাণুটি বারবার নিজের রূপ বদলাচ্ছে। এখন সতর্ক থাকা উচিত বলেই মত তাঁর।