পরবর্তী খবর
বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > বাচ্চার দাঁত হলুদ হওয়ার পিছনে আছে ৭ কারণ! এখনই বন্ধ না করলে ক্যাভিটি-ব্যথা দুটোই বাড়বে
বাচ্চাদের দাঁতে ক্যাভিটির সমস্যা কোনও নতুন বিষয় নয়। শুধু তাই নয়, অনেকসময়তেই তাদের দাঁতে একটা হলুদ ছোপ পড়ে যায়। যা যে শুধু দেখতে খারাপ লাগে তা নয়, অস্বাস্থ্যকরও। এর থেকে মুক্তি পেতে কিছু টিপস ফলো করে চলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বাড়ির বড়দেরই এটি খেয়াল রাখতে হবে।
চিকিৎসকরা যে ৭টি জিনিসে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে তা দেখে নিন এক নজরে-
- লজেন্স বা ক্যান্ডিতে চিনি বেশি থাকে এবং এগুলি চিটচিটে হওয়ায় দাঁতের ফাঁকে আটকে যেতে পারে। পিপারমিন্ট, চুষে খাওয়ার মতো শক্ত লজেন্স এড়িয়ে চলুন। বিশেষজ্ঞদের জানাচ্ছেন কাশির সিরাপও আপনার দাঁতের ক্ষতি করতে পারে। ক্যাডবেরি খাওয়ার পরেও কুলকুচি করে নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
- বাচ্চাদের আচার বেশি না দেওয়াই ভালো। কারণ শিশুদের দাঁতের জন্য এটি একেবারেই ভালো নয়। আচার তৈরিতে ভিনেগার ব্যবহার করা হয়, যা দাঁতের উপরে থাকা এনামেলের আস্তরণকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই যদি আপনার বাচ্চা বাচ্চা যদি আচার খায়ও, সঙ্গে সঙ্গে ব্রাশ করে নিতে বলুন।
- কার্বোনেটেড পানীয়ও খুব পছন্দ কচি-কাঁচাদের। এগুলি যে শুধু দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ তা নয়, দাঁতের জন্যও। এতে রয়েছে অ্যাসিড যা এনামেল স্তরের ক্ষতি করতে পারে। এছাড়া বেশিরভাগ সোডা এবং কোল্ড ড্রিংকসে প্রচুর পরিমাণে চিনি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা খুদেদের মুড সুইংসেরও কারণ।
- কিছু লজেন্স থাকে যা চিটচিটে প্রকৃতির হয় এবং খেলেই দাঁতের সঙ্গে আটকে যায়। এর থেকে ক্যাভিটি হতে পারে। এগুলিও এড়িয়ে চলুন।
- চিনি দিয়ে প্রসেসিং করে তৈরি করা ড্রাই ফ্রুটসও দেবেন না। বাচ্চারা সাধারণত এগুলোই খেতে পছন্দ করে। তার চেয়ে আসল কাজুবাদাম, আখরোট, পেস্তা, কাজু-খেজুর দিন। বাড়িতেই হালকা রোস্ট করে দিন, খেতে সুস্বাদুও লাগবে।
- দাঁতের এনামেল স্তরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে টমেটো স্যস ও সয়া স্যস।
- টিনজাত ফল দেবেন না। এগুলি চিনির সিরাপে ডুবিয়ে রাখা হয়। দাঁতের জন্য খারাপ।
একইসঙ্গে বাচ্চাকে দিতে ভুলবেন না দাঁত মাজার সঠিক ট্রেনিং দিতে। অনেকেই ব্রাশ চিবিয়ে ছেড়ে দেয়। কিন্তু আপনার সন্তানকে শেখান মুক্তোর মতো ঝলমলে হাসি পেতে দাঁত মাজতে হবে রোজ। তাও আবার একবার নয়, দিনে দু বার। দেখবেন ধীরে ধীরে ওরাও অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। আপনারাও ওদের সঙ্গেই দাঁচ মাজুন, অন্তত একবেলা। বড়দের দেখেই তো শেখে সন্তান।