উগাড়ি, ভারতের ফসল কাটার উৎসব, পশ্চিমবঙ্গ ব্যতীত ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন নামে, বিভিন্ন ভাবে নতুন বছরের সূচনা করে এই দিন। এই বিশেষ উৎসব কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলাঙ্গানায় পালিত হয়। মহারাষ্ট্র এবং গোয়া দিনটির উদযাপনকে আবার অন্যভাবে চিহ্নিত করে৷ চৈত্র মাসের হিন্দু ক্যালেন্ডারের প্রথম দিনটি সাধারণত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের মার্চ বা এপ্রিল মাসে পড়ে।
- তারিখ
এ বছর দৃক পঞ্চং অনুসারে নয় এপ্রিল মঙ্গলবার উদযাপিত হবে উগাড়ি বা গুড়িপদ। ৮ এপ্রিল রাত ১১:৫০ মিনিটে শুরু হবে প্রতিপদ তিথি এবং ৯ এপ্রিল রাত ১০:৩০ টায় শেষ হবে এই তিথি।
- ইতিহাস
উগাড়ি শব্দটি যুগাড়ি শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে। যার অনুবাদ 'যুগ' অর্থাৎ একটি যুগ, এবং 'আড়ি' অর্থাৎ নতুন কিছু। ১২ শতকে, ভারতীয় গণিতবিদ ভাস্করাচার্য উগাড়ির সূচনাকে একটি উপলক্ষ হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন, যা নতুন বছরের সূচনা করে, ঠিক যেমন কঠোর শীতের পরে আনন্দের বসন্ত শুরু হয়।
- তাৎপর্য
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ভগবান ব্রহ্মা এই দিনে বিশ্ব সৃষ্টি করেছিলেন এবং তখন থেকেই এই দিনে আঞ্চলিকভাবে নতুন বছর পালিত হয়ে আসছে। যুগাড়ি এটির সঙ্গে একটি নতুন যুগ নিয়ে আসে, বসন্ত ঋতুর সূচনা এবং নতুন বছরের শুরুকে চিহ্নিত করে। তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্ণাটকের বাসিন্দারা এই দিনটিকে উগাড়ি হিসাবে উদযাপন করেন। মহারাষ্ট্র এবং গোয়ার বাসিন্দারা দিনটিকে গুড়ি পাড়ওয়া হিসাবে উদযাপন করেন।
- উদযাপন
যে যার নিজস্ব রীতিতে উৎসাহের সঙ্গে এই দিনটিকে পালন করেন প্রত্যেকে। সকালে উঠে তেল মেখে স্নান করে এবং নিম পাতা খেয়ে উৎসব শুরু হয়। এরপর অনুষ্ঠানের আচারের মধ্যে রয়েছে রঙিন পতাকা উত্তোলন করা। আবার পঞ্চাঙ্গ শ্রাবণমও পালন করা হয়। এই আচারে পরিবারের একজন বয়স্ক ব্যক্তি চাঁদের চিহ্নের উপর ভিত্তি করে আগামী বছরের পূর্বাভাস শোনান। এই সময়ে লোকেরা নতুন পোশাক পরে, নিজেদের ঘর সাজিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানান।
- শুভেচ্ছা বার্তা
১) আমার তরফে আপনাকে এবং আপনার জন্য শুভ ফসল কাটার উৎসব।
২) নতুন বছর আপনার জন্য মঙ্গল বয়ে আনুক।
৩) এই বছর আপনার পথ থেকে সমস্ত অন্ধকার মুছে ফেলুক এবং আপনাকে সাফল্য অর্জনে সহায়তা করুক।
৪) আসন্ন বছরে আপনার জীবনের থালিতে সব রকমের স্বাদ থাকুক।