শুধু সাদা অংশটুকুই খাবেন, নাকি পুরো ডিম?
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 09 Apr 2021, 06:07 PM ISTসাদা অংশে থাকে প্রোটিন। এবং হলুদ অংশ বা কুসুমটিতে থাকে পুষ্টিগুণ ও কোলেস্টেরল৷
সাদা অংশে থাকে প্রোটিন। এবং হলুদ অংশ বা কুসুমটিতে থাকে পুষ্টিগুণ ও কোলেস্টেরল৷
প্রাতরাশে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। ডিমে থাকা হাই প্রোটিন কর্মক্ষমতা বাড়ায়। সারারাত না খেয়ে থাকার ফলে শরীরে যে অলসতা তৈরি হয়— তাও দূর করে। এবার সমস্যা হল গোটা ডিমটাই খাব না শুধু সাদা অংশ! অনেকেই মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে বা হার্ট ভালো রাখতে ফেলে দেন ডিমের কুসুম। তখন শুনতে হয়, যা বাব কুসুমেই তো বেশি উপকার!
হার্ট সুস্থ রাখতে কোলেস্টেরল খাওয়া চলবে না, অনেকেই বিশ্বাস করেন এই মন্ত্রে। অনেকেই ভাবেন গোটা ডিম খেলে বেড়ে যাবে কোলেস্টেরল। বিকল হবে হার্ট! এভাবে বাদ পড়ে যায়, প্রোটিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র। প্রসঙ্গত, একটি ডিমের কুসুমে প্রায় ১৮০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে।
মনে রাখতে হবে আমাদের শরীরে টেস্টাস্টেরন হরমোন তৈরিতে কলেস্টেরলের প্রয়োজন পড়ে। যা শরীরের শক্তি বৃদ্ধি এবং পেশি গঠনে সাহায্য করে। পিত্তে উপস্থিত অ্যাসিড তৈরিও কোলেস্টেরলের অন্যতম কাজ৷ তাই খাদ্যের মধ্যে দিয়ে যথেষ্টে কোলেস্টেরল শরীর না পেলে লিভার তা নিজেই তৈরি করে নেয়।
ডিমে মোট দু’টি অংশ থাক— সাদা আর হলুদ৷ সাদা অংশে থাকে প্রোটিন। এবং হলুদ অংশ বা কুসুমটিতে থাকে পুষ্টিগুণ ও কোলেস্টেরল৷ সঙ্গে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন বি।
বর্তমানে চিকিৎসকরা দিনে একটা কিংবা দুটো গোটা ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কোলেস্টেরলের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে বরং এরিয়ে যান মিষ্টি, ভাজাভুজি জাতীয় খাবার। সঙ্গে, চেষ্টা করুন ডিম পোচ বা সেদ্ধ করে খেতে। মশালা অমলেট চলতে পারে মাঝেমাঝে, রোজ নয়!