গরমের দিন। পাড়ায় সব বাড়ির জানলা দরজা বন্ধ। আওয়াজ সেরকম নেই রাস্তায়। কুকুররাও বসে এক কোণে। আচমকা পাড়ার রাস্তায় ঢুকল একটি বাইক। ব্যাস! তা দেখেই পাড়ার কুকুরদের তুমুল চিৎকার শুরু, বাইক ধাওয়া করে গলির শেষ মাথা পর্যন্ত গিয়ে তবেই শান্তি তাদের!এমন ঘটনা প্রায় সব এলাকাতেই হয়ে থাকে। অনেক সময় এই ঘটনার জেরে বাইক দুর্ঘটনাও ঘটে। তবে জানেন কি এর নেপথ্যে রয়েছে এক বিশেষ কারণ?
কোথাও সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে পর পর গাড়ি ও বাইক। এলাকার কুকুররা সেখানে গিয়ে বিভিন্ন গাড়ির টায়ার দেখে শুনে সেখানেই প্রস্রাব করছে, এমন দৃশ্যও দেখেছেন নিশ্চয়ই! কুকুর সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর নেপথ্যে রয়েছে কুকুরদের স্বভাবগত এক কারণ।
- বলা হচ্ছে, নিজেদের এলাকা চিহ্নিত করে রাখে কুকুররা। এই এলাকা চিহ্নিত করেই তারা এলাকার বাকিদের সঙ্গে সংযোগ ধরে রাখে। আর এলাকা চিহ্নিত করণের উপায় হিসাবে তারা বেছে নেয় প্রস্রাবকে। বলা হচ্ছে, গাড়ির চাকায় বা টায়ারে প্রস্রাব করে কোনও এক কুকুর জানান দিয়ে যায় যে তারা সেই এলাকায় রয়েছে। বাকি কুকুররা প্রস্রাবের গন্ধে সেই বার্তা পেয়ে যায় তাদের ঘ্রাণ শক্তির তীব্রতার জেরে। আর এই ভাবেই তারা এলাকায় অস্তিত্ব ধরে রাখে। মার্ক করে রাখে এলাকা। বাড়বাড়ন্ত কোভিডে মহারাষ্ট্রে কি আদৌ বাধ্যতামূলক মাস্ক? মুখ খুললেন মন্ত্রী
- এরপর সেই এলাকার গাড়ি যদি কেউ চালিয়ে যান, তাহলে গন্ধ থেকেই কুকুররা গাড়িটিকে চিনে যায়। আর তার পিছু ধাওয়া করে। অনেক সময় টায়ারের গন্ধ ভাললাগার জন্যও কোনও গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে কুকুররা।
- কেন টায়ারই প্রস্রাব করার জন্য তাদের পছন্দ? এর জবাবে পশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভার্টিক্যাল সার্ফেসে প্রস্রাব করতে পছন্দ করে কুকুররা। যাতে বাকি কুকুরদের নাকের কাছাকাছি হয় তাদের রেখে যাওয়া 'চিহ্ন' (প্রস্রাব) সেই উদ্দেশ্য থেকে তারা টায়ারকে বেছে নেয়। ফলে বাকি কুকুররা সহজেই তা শুঁকে নিতে পারে। অন্য কারণটি হল, মাটিতে প্রস্রাব করলে তার গন্ধ সহজেই মিলিয়ে যায়, তবে টায়ারের ক্ষেত্রে তা হয় না। রবারের টায়ারে প্রস্রাবের গন্ধ অনেক ক্ষণ থাকে।
- এছাড়াও রবারের টায়ারের গন্ধ কুকুরদের খুবই পছন্দের। তাই সেখানেই প্রস্রাব করে তারা।