বাংলা নিউজ >
টুকিটাকি > Heart Disease Causes: কেন মাঝবয়সীদের মধ্যে বড়ছে হৃদরোগের ভয়াবহ সমস্যা? অভিষেকের অকাল প্রয়াণ তুলছে নানান প্রশ্ন
Heart Disease Causes: কেন মাঝবয়সীদের মধ্যে বড়ছে হৃদরোগের ভয়াবহ সমস্যা? অভিষেকের অকাল প্রয়াণ তুলছে নানান প্রশ্ন Updated: 24 Mar 2022, 03:45 PM IST Sritama Mitra অকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। ইদানিংকালে একাধিক সেলেবের এমন অকাল প্রয়াণ দেখা গিয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার জেরে। কেন এমন সমস্যা বাড়ছে? দেখে নেওয়া যাক। 1/8 বাঁধ না মানা চোখের জলে সকলকে কাঁদিয়ে আজ চলে গেলেন অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। বয়স মাত্র ৫৮ বছর। মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ। এর কয়েকদিন আগে, বিশ্ব জোড়া ক্রিকেট ভক্তকে কাঁদিয়ে জীবনাবসান হয় অস্ট্রোলিয়ান ক্রিকেটার শেন ওয়ার্নের। বয়স ৫২ বছর। মৃত্যুর কারণ আপাতত জানা গিয়েছে হৃদরোগ। আরও একটু পিছনে যাওয়া যাক। তেলাঙ্গানার মন্ত্রী গৌতম রেড্ডি প্রয়াত হন হৃদরোগে, বয়স হয়েছিল ৫১ বছর। কর্ণাটকের তাবড় স্টার পুনিত রাজকুমারের মৃত্যু হয় ৪৬ বছর বয়সে, কারণ সেই হৃদরোগ! উল্লেখ্য, ক্রমেই মাঝ বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর উঠে আসতে শুরু করেছে। পর পর এই এতগুলি মৃত্যুর 'কারণ' হিসাবে যে রোগটি উঠে আসছে, তা বিভিন্নভাবে উদ্বিগ্ন করছে সকলকে। প্রশ্ন উঠছে কেন এভাবে মাঝবয়সিদের মধ্যে হৃদরোগের সমস্যা বাড়ছে? এর নেপথ্যে কোন কারণ রয়েছে? ছবি সৌজন্য-Facebook 2/8 ইউটি সাউথ ওয়েস্টার্নের একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মাঝ বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার নেপথ্যে একাধিক ফ্যাক্টর কার্যকরী হতে পারে। যেমন ওবেসিটি, যার সঙ্গে সম্পর্কিত রয়েছে টাইপ টু ডায়াবেটিস। এছাড়াও রয়েছে হৃদরোগ নিয়ে পরিবারের ইতিহাস। ধূমপান ও কোলেস্টেরলের উচ্চমাত্রা। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি রিপোর্ট বলছে, ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ১.৫ শতাংশ হৃদরোগ দেখা গিয়েছে ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে। দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন কারণে হৃদরোগের সমস্যা মাঝবয়সীদের মধ্যে হতে শুরু করেছে? (ফাইল ছবি) 3/8 পারিবারিক ইতিহাস- যদি পরিবারে কারোর হৃদরোগের সমস্যা থাকে,তাহলে একজন ব্যক্তির হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ইউটি সাউদার্নের তথ্য বলছে, আমেরিকায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হৃদরোগের অন্যতম কারণ পারিবারিক হৃদরোগের ইতিহাস। চিকিৎসকরা বলছেন, কেউ সুস্বাস্থ্যবান ও অ্যাক্টিভ হলেই যে তিনি এই রোগে আক্রান্ত হবেন না তা নয়। Familial hypercholesterolemia এমন একটি অবস্থা, যার ফলে জিনগতভাবেও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা থাকে। 4/8 মেদ- এছাড়াও অতিরিক্ত মেদ হৃদযন্ত্রের পক্ষে খুবই খারাপ। ওবেসিটির সমস্যা থেকে অনেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। ওবেসিটি সঙ্গে নিয়ে আসে ডায়াবেটিস টাইপ টু, উচ্চ কলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য হিন্দুস্তান টাইমস) 5/8 ডায়াবেটিস- ডায়াবেটিস কখনও বাংশগত সমস্যা হয়ে থাকে, আবার কখনও তা বংশগত নাও হতে পারে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, হৃদরোগের সমস্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে টাইপ টু ডায়াবেটিস অন্যতম ফ্যাক্টর। 6/8 রক্তচাপ- রক্তনালিকার ওজন বেড়ে গেলে সমস্যা বাড়তে থাকে। ফলে রক্তচাপ হৃদরোগের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হাইপারটেনশন হৃদরোগের ক্ষেত্রে অন্যতম বড় কারণ। ফলে রক্তচাপ যাতে না বাড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 7/8 কোলেস্টেরল- কোলেস্টেরলের ফলে হৃদরোগের সমস্যা অনেক ক্ষেত্রেই বেড়ে যায়। উচ্চমাত্রায় শরীরে কোলেস্টেরল থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি প্রভূত বাড়তে পারে। বিভিন্ন থেরাপি ও ওষুধে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় কোলেস্টেরলকে।(ফাইল ছবি) 8/8 জীবনযাত্রা- অনেক সময় প্রভাব ফেলে হৃদরোগে। ধূমপানের বাড়বাড়ন্ত, ব্যায়াম না করার মতো ঘটনা বহু সময়ই সমস্যা তৈরি করে হৃদরোগের ক্ষেত্রে। এছাড়াও কোলেস্টেরল থাকা সত্ত্বেও অনেকেই তেল মশলাদার খাবারে অনেকেই কবজি ডুবিয়ে বসেন। এরফলে শুরু হয় সমস্যা। শুরু হয় হৃদরোগ। (ফাইল ছবি)