একটা সুস্থ জীবন পেতে গেলে যেমন সঠিক খাবার খেতে হয়, সঠিক সময়, শরীর চর্চা করতে হয়, বিশেষ করে খেলোয়াড়দের জন্য একটি পুষ্টিকর খাদ্যতালিকা অতি প্রয়োজনীয়। সেই তালিয়ায় যদি থাকে বিটরুট তাহলে তো কোনও কথাই নেই। জেনে নেওয়া যাক বিটরুট কী?
বিটরুট, বিট গাছের মূল এবং এটি এ্যামার্যান্থেসি পরিবারের অন্তর্গত। কাঁচা খাওয়া হোক অথবা রান্নায় দেওয়া হোক অথবা স্যুপেই মেশানোই হোক-- এর গাঢ় লাল রং আপনার শরীরের জন্য উপকারি। এটা শুধু আকর্ষণীয় চেহারা এবং রঙের জন্যেই নয়, রোগমুক্ত শরীর গড়ে তোলার জন্যও সুপারফুড হিসাবেও কাজ করে।
এতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। বিটে আছে জিংক, আয়রন, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, নাইট্রেট, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি, ভিটামিন। বিটের বেশকিছু পুষ্টিগুণ জেনে নেওয়া যাক--
বিটরুট নাইট্রেট যুক্ত এবং অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ সবজি। যা শরীরে রোগ ক্ষমতা বাড়ায়।
ক্যালরি ৪৩
চর্বি ০.২ গ্রাম
চিনি ৭ গ্রাম
প্রটিন ১.৬ গ্রাম
ফাইবার ২.৮ গ্রাম
খেলোয়াড়দের জন্য কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই বিটরুট--
১. শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে বিট।
২. ক্যানসারের মতো রোগকেও প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আছে বিটে। বিট শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেয়।
৩. বিটে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। অ্যানিমিয়া, রক্তসল্পতায় বিট খুবই উপকারী। শরীরে রক্তের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।
৪. বিট আমাদের প্রাণশক্তি ও কাজের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। দেহে অক্সিজেনের কার্যকরী ব্যবহারে বিটের ভূমিকা আছে বলে দৌড়বিদ ও অন্য খেলোয়াড়েরা নিয়মিত বিট খেয়ে থাকেন থাকেন।
বিটের আছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা রক্তকে পরিশুদ্ধ করে। তবে এর গুণ পর্যাপ্ত পরিমাণে পেতে হলে যতটা সম্ভব কম সময় ধরে রান্না করতে হবে। কাঁচা খেলে এর গুণাগুণ পাওয়া যায় সবচেয়ে বেশি। এটি রক্তের লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে।
কীভাবে খেতে হবে বিটরুট?
জুস করে খেতে পারেন।
সেদ্ধ করে খেতে পারেন।
কাঁচাও খেতে পারেন।
বিট, কলা, মাখন, দিয়ে শেক করেও খেতে পারেন।