২০১৯ সালে ডিসেম্বর থেকেই ধীরে ধীরে বদলে যেতে শুরু করে গোটা বিশ্ব। করোনা অতিমারীর প্রকোপ ক্রমেই চিনের সীমানা অতিক্রম করে ছড়িয়ে পড়ে আমেরিকা, এশিয়া ইউরোপ সহ গোটা বিশ্বে। তখন থেকেই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এই ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের জেরে আঙুল তুলেছিল চিনের দিকে। যদিও এর কোনও প্রমাণ মেলেনি যে চিন ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিয়েছে বলে। তবে অতিমারীর পাঁচ বছর আগে যে সেদেশের বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করেছিল, সেই খবর প্রকাশ্যে এল।
জানা গিয়েছে ২০১৫ সালে চিনা বিজ্ঞানী এবং স্বাস্থ্য আধিকারিকরা SARS করোনা ভাইরাসকে একটি 'নতুন যুগের জেনেটিক হাতিয়ার' বলে আখ্যা দিয়েছিল। উইকেন্ড অস্ট্রেলিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই SARS করোনা ভাইরাসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের চিন্তা ভাবনাও করা হয়েছিল।
উইকেন্ড অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সম্ভাব্য তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের মূল হাতিয়ার হবে জৈব অস্ত্র। এই প্রতিবেদনে জানানো হয় কীভাবে চিনা সামরিক বিজ্ঞানীরা অতিমারীর পাঁচ বছর আগেই করোনাকে জৈব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছিল। এই বিষয়ে নিউজ অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটকে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর পিটার জেনিংস বলেন, 'আমার মনে হয় এই নথিটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটা প্রমাণ করছে যে চিনা বিজ্ঞানীরা এই সংক্রামক ভাইরাসকে সামরিক খাতে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছিল। এর থেকে এটা ফের একবার সামনে এল যে হয়ত দুর্ঘটনা বসত চিন থেকেই এই ভাইরাসটি বাকি বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।'
পাশাপাশি পিটার জেনিংসের দাবি, হয়ত এই কারণেই চিন করোনা ভাইরাস নিয়ে কোনও তদন্ত চাইছিল না। কারণ তারা চাইত না যে বাকি বিশ্ব জানুক যে চিন বহু আগে থেকেই এই করোনা ভাইরাসকে সামরিক খাতে ব্যবহার করার কথা ভাবা হচ্ছে। যদি সত্যি সত্যি চিনের 'ওয়েট মার্কেট' থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে থাকত, তাহলে সেটা খুঁজে বের করার বিষয়ে চিনের সাহায্য করা উচিত ছিল।