পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশে ব্যাপক হামলা চালালো বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী। এই হামলায় তিনজন নাগরিকসহ কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে বালুচিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মাচ এবং কোলপুর কমপ্লেক্সে হামলা চালানো হয়। জঙ্গি সংগঠন বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) হামলার দায় স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ইরানের মাটিতে শিশু-মহিলাদের হত্যা, হাই অ্যালার্টে পাকিস্তান
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস এজেন্সি (আইএসপিআর) জানিয়েছে, জঙ্গিরা বালুচিস্তানের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের মাচ এবং কোলপুর কমপ্লেক্সে হামলা চালায়। ঘটনার পরে আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিএলএ গোষ্ঠীর লক্ষ্য হল খনিজ সমৃদ্ধ বালুচিস্তানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হোক। যা আয়তনের দিক থেকে পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ। কিন্তু, জনসংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে ছোট।
উল্লেখ্য, বালুচিস্তানের দুটি প্রধান উপজাতি রয়েছে মারি এবং বুগতি। এই উপজাতিদের অনেকেই এই গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত। বলা হয়ে থাকে, যে অনেক এলাকায় তাদের আতঙ্ক এত বেশি যে তাদের এলাকায় পাকিস্তানি সেনা পর্যন্ত যেতে ভয় পায় না। তাই শুধু বিমান হামলা চালায়। কিছু প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে বিএলএর সদস্যরা নাকি রাশিয়ার প্রাক্তন গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে।
পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক কক্কর গত সপ্তাহে স্বীকার করেছেন যে বালুচিস্তানের জনগণ শুধু অসন্তুষ্ট নন বরং তারা একটি পৃথক দেশ দাবি করছেন। পাকিস্তানে প্রথমবারের মতো কোনও নেতা বেলুচদের আকাঙ্খা মেনে নিয়েছেন। বালুচিস্তান পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকারের সময় কাকার বালুচিস্তানের মানুষদের জোর করে অপহরণ করার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছেন। চ্যালেঞ্জগুলি মেনে নিয়ে তিনি নিখোঁজদের ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, বালুচিস্তানের মানুষ আলাদা পরিচয় চায়, এটাই সমস্যার মূল। এর আগে খুব কমই কোনও পাকিস্তানি নেতা এই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। আপাতত এদিনের ঘটনার পরেই এলাকায় প্রচুর সংখ্যক সেনা বাহিনী মোতায়েন করেছে পাক সরকার।