নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বড়সড় অনুপ্রবেশের ছক বানচাল করে দিল ভারতীয় সেনা। বৃহস্পতিবার রাজৌরিতে দুই পাকিস্তানি জঙ্গিতে খতম করা হয়েছে। তবে গুলির লড়াইয়ে এক জুনিয়র কমিশনড অফিসার-সহ দুই ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিরক্ষা বিষয়ক এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাজৌরি জেলার সুন্দরবনি সেক্টরের দাদাল এলাকায় অনুপ্রবেশ এবং জঙ্গিদের গতিবিধির নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করে ভারতীয় সেনা। দাদালের জঙ্গল এলাকায় জঙ্গিদের দেখতে পায় সেনার একটি দল। জঙ্গিদের চ্যালেঞ্জ ছোড়া হয়। পাকিস্তানি জঙ্গিরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। ছুড়তে থাকে হ্যান্ড গ্রেনেড। গুলির লড়াইয়ে দুই পাকিস্তানি জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে দুটি একে-৪৭ রাইফেল এবং প্রচুর পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র। তবে গুলির লড়াইয়ে ভারতীয় সেনার দু'জন জওয়ান মারা গিয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজৌরির নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অনুপ্রবেশের ছক বানচাল করেছে সেনা। বুধবার এক পাকিস্তানি জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছিল। পাকিস্তান থেকে ভারতে ঢুকতে চাওয়া জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে দু'জন জওয়ান আহত হন। এমনিতে অনুপ্রবেশের খবর পেয়ে গত মাস থেকেই সুন্দরবনি সেক্টরের দাদাল এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। গত ৩০ জুন নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে কয়েক কিলোমিটার ভিতরে সুন্দরবনি সেক্টরের দাদাল এলাকায় জঙ্গি এবং সেনার মধ্যে গুলির লড়াই হয়েছিল। তাতে আহত হয়েছিলেন এক জওয়ান।
তারইমধ্যে বৃহস্পতিবার ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, 'ভারতের বিরুদ্ধে উলটোপালটা প্রচার করা (লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা তথা ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের বাড়ির সামনে যে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল, তাতে ভারত মূলচক্রী ছিল বলে যে অভিযোগ করা হয়েছিল) পাকিস্তানের কাছে নতুন কিছু নয়। এরকম চেষ্টা যদি নিজেদের ঘর গোছানোর জন্য করে এবং নিজেদের দেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ করা উচিত পাকিস্তানের। যে জঙ্গিরা পাকিস্তানে সুরক্ষিত আশ্রয় পাচ্ছে।'