ইয়াস আসার আগেই একে একে গর্ভবতী মহিলাদের সরিয়ে আনার হয়েছিল নিরাপদ আশ্রয়ে। কাউকে রাখা হয়েছিল নির্দিষ্ট প্রসব কেন্দ্রে। কাউকে আবার রাখা হয়েছিল মাল্টি পারপাস সেল্টার হোমে। এরকম করে ইয়াস আসার আগেই ওড়িশার প্রায় সাড়ে ৬ হাজার গর্ভবতী মহিলাকে সরিয়ে আনা হয়েছিল নিরাপদ জায়গায়। এদিকে ওড়িশা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ইয়াস আসার আগে থেকে চলে যাওয়া পর্যন্ত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত প্রায় ৩০০ শিশুর জন্ম নথিভুক্ত হয়েছে। এদিকে ইয়াসের নামেই নবজাতকদের নাম রাখতে চাইছেন সিংহভাগ অভিভাবক।
সূত্রের খবর একদিকে যখন বালেশ্বরে আছড়ে পড়ে ইয়াস, লন্ডভন্ড হয়ে যায় চারদিক, প্রাণ বাঁচাতে দিশেহারা মানুষ, তখনই স্বাস্থ্য দফতরের নিরাপদ আশ্রয়ে একের পর এক সন্তানের জন্ম দেন মায়েরা। স্বাস্থ্য় দফতর সূত্রে খবর, ইয়াসের তাণ্ডব চলাকালীন ও তার কিছুটা আগে ও পরে মিলিয়ে শুধু বালেশ্বরেই জন্ম নিয়েছে ১৬৫জন শিশু। তাদের মধ্যে ৮৬জন শিশুকন্যা ও ৭৯জন পুত্রসন্তান। ভদ্রকেও জন্ম নিয়েছে ৬০জন শিশু। তার মধ্যে ৩৭জন পুত্র সন্তান ও ২২জন কন্যাসন্তান। ময়ূরভঞ্জেও ৬৬জন শিশুর জন্ম হয়েছে ঝড়ের সময়কালের মধ্যে। আর আশ্চর্যের বিষয় সিংহভাগ অভিভাবকই তাঁদের সন্তানের নাম রাখতে চাইছেন ঝড়ের নামে। যে ঝড় তাণ্ডব চালিয়েছিল ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকাতে সেই ঝড়ই আবার বয়ে এনেছে নবজীবনের বার্তা। তাই ইয়াসের নামেই আদরের শিশু সন্তানের নামকরণ করতে চাইছেন অভিভাবকরা।