রামনবমী ঘিরে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় গুজরাতে অন্তত ৩৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গুজরাতের রাজধানী গান্ধীনগর থেকে ৭০ কিমি দূরে হিম্মতনগর এবং ১২৫ কিমি দূরে খামভাতে রামনবমীর মিছিলে পাথর ছোড়া হলে সেখানে দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে আপাতত দুই জায়গাতেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত হিম্মতনগরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এদিকে দোষীদের খুঁজে বের করতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এই বিষয়ে গান্ধীনগর রেঞ্জের আইজি অভয় চুদাসামা বলেন, ‘হিম্মতনগরে বর্তমানে প্রায় এক হাজার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত প্রায় ৩০ জনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। সিসিটিভি ফুটেজ ও সেলফোন ট্র্যাকিংয়ের ভিত্তিতে আমরা অপরাধীদের ধরার চেষ্টা করছি।’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবারের সহিংসতায় জড়িত থাকার জন্য ৬০০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলাও নথিভুক্ত করা হয়েছে। সূত্রের মতে, ভুয়ো ভিডিও পোস্ট করে ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্ট করা ব্যক্তিদের উপর নজর রাখতে সোশ্যাল মিডিয়াতেও কড়া নজর রাখছে গুজরাত পুলিশ।
এদিকে আনন্দ জেলার খামভাতে একজন বৃদ্ধ সাম্প্রদায়িক হিংসার বলি হয়েছিলেন। সোমবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। কয়েক হাজার মানুষ তাঁর শেষকৃত্যে যোগ দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, খামভাতে যে সহিংসতা শুরু হয়েছিল তার সাথে জড়িত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিছু ধর্মীয় নেতা সহ নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে আনন্দের বিজেপি সাংসদ মিতেশ প্যাটেল সোমবার খমভাত পরিদর্শনে যান। সেখানে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন যে সহিংসতার পিছনে থাকা লোকেরা শাস্তি পাবে।