বহু কষ্টে তো দিল্লি এলেন। কিন্তু স্টেশনে এসে বিপাকে পড়লেন প্রায় হাজার জন যাত্রী। মঙ্গলবার থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করেছে ভারতীয় রেল। হাওড়া থেকে বুধবার সকালে দিল্লিতে আসেন হাজারের অধিক যাত্রীরা। কিন্তু যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি নেই, তারা মারাত্মক সমস্যায় পড়লেন দিল্লি স্টেশনে।
এখনও অনেকে স্টেশনেই লাগেজ নিয়ে অপেক্ষা করছেন বলে জানা গিয়েছে। শুধু হাওড়া থেকে আসা যাত্রীরা নয়, আমদাবাদ, পাটনা ও মুম্বই থেকে আসা মানুষরাও দিল্লি স্টেশনে আটকে পড়েছেন। এদিন সকলকে থার্মাল স্ক্রিনিং করেই স্টেশন চত্বর থেকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। দিল্লি সরকার আগেই জানিয়েছে যে যাদের করোনার চিহ্ন নেই, তাদের কোয়ারেন্টাইন করা হবে না। শুধু যাদের শরীরে করোনার চিহ্ন রয়েছে, তাদের টেস্ট করা হবে ও কোয়ারেন্টাইন করা হবে।
এদিকে দিল্লি স্টেশনে আজ সোশ্যাল ডিস্টেন্সিংয়ের তোয়াক্কা না করেই মানুষ ছুটে বেড়ালেন বাড়িতে যাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য। অনেকে তো আবার হেঁটেই বাড়ির পথে যাত্রা শুরু করলেন। কেজরিওয়াল সরকার কোনও ব্যবস্থাই করেনি যাত্রীদের জন্য। কিছু প্রাইভেট ট্যাক্সির দেখা মিলেছিল। সেগুলিরই সামনে বিশাল লাইন পড়ে।
বেলা বাড়তেই স্টেশনে আগত যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে দেখে অবশেষে টনক নড়ে দিল্লি সরকারের। বাস চালানোর কথা ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানানো হয়েছে।
১৫টি বিশেষ এসি ট্রেন আপ-ডাউন আপাতত চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ধাপে ধাপে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে।