অ্যালোপ্যাথি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের রেশ এখনও মেটেনি। এবার রামদেবের পতঞ্জলি যোগপীঠ পরিচালিত আবাসিক স্কুল বৈদিক কন্যা আচার্যকুলমে চার পড়ুয়াকে আটকে রাখার অভিযোগ। সিকিউরিটি মানি না দিলে তাদের ছাড়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। তবে শেষ পর্যন্ত গোটা ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। অবশেষে স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে টুইটও করেছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, ‘আমি অভিযোগ পেয়েছিলাম পতঞ্জলির গুরুকুলে চার স্কুল পড়ুয়াকে হোস্টেজ(hostage) করে রাখা হয়েছে। গারিয়াবান্দের জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে তাদেরকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎের জন্য শুভকামনা রইল।' লিখেছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্য়মন্ত্রী।
এদিকে প্রশাসনের দাবি, বৈদিক কন্যার চার ছাত্র ছত্তিশগড়ের গারিয়াবান্দ জেলার বাসিন্দা। তারা হরিদ্বারে রামদেবের ওই গুরুকূলের আবাসিক ছাত্র হিসাবে পড়তে গিয়েছিল। কিন্তু তাদের গ্রামে ফিরতে দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। অভিভাবকদের অভিযোগ, দাবি মতো টাকা মেটাতে না পারার জন্যই তাদের ছাড়া হচ্ছিল না। এই অভিযোগ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যেতেই তিনি জেলা শাসককে এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার জন্য নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসন এরপর হরিদ্বার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ও গুরুকুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে চারজনকে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়। পাশাপাশি গুরুকূল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারেও আলোচনা চলছে।
হরিদ্বার জেলা প্রশাসনের দাবি, চারজন ছাত্রের মধ্যে দুজন লোয়ার কেজিতে, একজন ক্লাস ওয়ানে ও অপরজন ক্লাস সিক্সে পড়ে। পড়ুয়াদের অভিভাবকদের অন্যতম কুশল কুমার সিংয়ের অভিযোগ, বাচ্চাদের নিয়ে যেতে চেয়ে গত ২৬শে মে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু সিকিউরিটি মানি না দিলে ওরা বাচ্চাদের নিয়ে যেতে দিচ্ছিল না। তবে গোটা ঘটনায় মুখ খুলতে চায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত ২০১৩ সালে তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই স্কুলের শিলান্যাস করেছিলেন।