যতজন আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তার তুলনায় করোনাভাইরাসের শয্যা সংখ্যা অনেকটা কম। রোগীর চাপ কীভাবে সামলানো হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল। এই অবস্থায় দিল্লি সরকারকে অবিলম্বে ৫০০ টি রেলের কোচ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। তাতে যাবতীয় সুযোগসুবিধা থাকবে। ফলে রাজধানীতে ৮,০০০ করোনা শয্যা বাড়বে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
দিল্লির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শাহ। ছিলেন কেন্দ্রীয় হর্ষবর্ধন, লেফটেন্য়ান্টে গভর্নর অনিল বাজার, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের (এসডিএমএ) আধিকারিকরা। বৈঠকের পর একগুচ্ছ টুইটবার্তায় শাহ জানান, রাজধানীতে করোনা সংক্রমণ রুখতে বদ্ধপরিকর নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেজন্য বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শাহ জানান, দিল্লির কনটেনমেন্ট জোনে কনট্যাক্ট ম্যাপিংয়ের উপর বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিটি ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট আসবে। তিনি বলেন, ‘ভালো করে নজরদারির জন্য প্রত্যেকের মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করানো হবে।’
একইসঙ্গে আগামী দু'দিনে দিল্লিতে দৈনন্দিন করোনা টেস্টের সংখ্যা দ্বিগু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ছ'দিনে তা গুণ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন শাহ। গত ১১ জুন দিল্লিতে ৫,৩৬০ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। শাহ জানান, কয়েকদিন পর থেকেই প্রতিটি পোলিং স্টেশনে করোনা পরীক্ষা হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যত টেস্ট করা হবে তত বেশি সংখ্যক করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলবে। এমনিতেই গত সপ্তাহে দিল্লিতে যতজনের টেস্ট হয়েছে তাঁদের মধ্যে ৩০.৫ শতাংশের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ প্রায় তিনজনের মধ্যে একজন করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যা জাতীয় গড়ের তুলনায় ঢের বেশি। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে যতজনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে, তাঁদের মধ্য়ে সাত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।